সিপিএমের হার্মাদরা লাল জামা ছেড়ে গেরুয়া জামা পরেছে। আর তারপর বাম আমলের মতোই বোমা ও বন্দুকের হিংস্র রাজনীতি করছে ‘ক্যাডার’রা। আনন্দপুরের সভা থেকে এভাবেই বাম ও বিজেপিকে একত্রে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিন তিনি বলেন, পঞ্চায়েতে তৃণমূলের জয় হলে কেউ কেউ দল বদল করে তৃণমূলের চোখে ধুলো দিয়ে তৃণমূলে ঢুকেই নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে চাইবে। তা করতে দেবেন না অভিষেক। এদিন গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নিয়েও মুখ খোলেন অভিষেক। বলেন, ‘কেশপুরে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। থাকলে এত ভিড় হতো না’। পঞ্চায়েতের দামামা বাজানোর মধ্য দিয়েই লোকসভা নির্বাচন নিয়েও এদিন মুখ খোলেন অভিষেক। তাঁর দাবি, মেদিনীপুর এবং ঘাটাল লোকসভা থেকে ৩ লক্ষেরও বেশি ব্যবধানে জয় হবে তৃণমূলের। আর পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই সেই পথ দেখাবে কেশপুর। সিপিএম এবং বিজেপির উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, গলাগলি না করে একা লড়ুন। এভাবে সমবায়েও বাম-বিজেপি সফল হয়নি। লাভ হবে না পঞ্চায়েতেও। সিপিএমকে হার্মাদ, বিজেপিকে জহ্লাদ এবং কংগ্রেসকে উন্মাদ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। বার্তা দেন নির্দল পার্থীদেরও। সেই সঙ্গে এও বলেন, অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। কেউ মনোনয়নপত্র জমা না দিতে না পারলে ‘এক ডাকে অভিষেক’-এ ফোন করতে। তৃণমূল বিরোধীদের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, এখন থেকে প্রার্থী নির্বাচন শুরু করুন। সব আসনে প্রার্থী দিতে হবে তো। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, মানুষের রায়ে জয় হবে জোড়াফুল শিবিরেরই।