কলকাতা

ডাক্তারদের আক্রমণ করায় কাঞ্চনদের ওয়ার্নিং অভিষেকের! বাকিদেরও সতর্ক করে বললেন, আমাদের গঠনমূলক পদক্ষেপ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এরকম ভয়ংকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়

আরজি কর কাণ্ড নিয়ে এমনিতেই প্রবল চাপে তৃণমূল কংগ্রেস। তারইমধ্যে তৃণমূল নেতা-বিধায়করা এমন মন্তব্য করছেন যে ঘাসফুল শিবিরকে আরও অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়েছে। আর তাতে লাগাম টানতে আসরে নামলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রাতের দিকে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, ‘দল নির্বিশেষে জনপ্রতিনিধিদের আরও নম্র এবং সহানুভূতিশীল হতে পারে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রত্যেকের কাছে আমি আর্জি জানাব যে তাঁরা যেন স্বাস্থ্য সমাজ বা নাগরিক সমাজের কারও বিরুদ্ধে আজেবাজে মন্তব্য না করেন। প্রত্যেকের প্রতিবাদ এবং মতপ্রকাশের অধিকার আছে।’ সরাসরি কারও নাম না নিলেও রাজনৈতিক মহলের মতে, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের নিয়ে উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক এবং সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্র যে ‘লজ্জাজনক’ মন্তব্য করেন, সেজন্য তাঁদেরকে ‘ওয়ার্নিং’ দিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। সেইসঙ্গে বাকিদেরও সতর্ক করে দিলেন। আর কেন তৃণমূল নেতাদের ‘ওয়ার্নিং’ দিয়েছেন, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিষেক। ‘প্রত্যেকের প্রতিবাদ এবং মতপ্রকাশের অধিকার আছে – এই বিষয়টাই বিজেপি-শাসিত রাজ্যের থেকে বাংলাকে আলাদা করে তোলে। আমরা নিজেদের সর্বস্ব উজাড় করে দিয়ে বুলডোজার মডেল এবং দমিয়ে রাখার রাজনৈতিক কৌশলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি।’ সেইসঙ্গে অভিষেকের পরামর্শ, ‘এখন আমাদের গঠনমূলক পদক্ষেপ করতে হবে, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে ভবিষ্যতে এরকম ভয়ংকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। যতক্ষণ না দোষীরা শাস্তি পাচ্ছেন এবং রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ধর্ষণের মামলা শেষ করার আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে, ততক্ষণ এই লড়াইয়ে বাংলাকে অবশ্যই জোটবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে।’ ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেও জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি পালন করায় তোপ দেগেছিলেন কাঞ্চন। তিনি বলেন, ‘যাঁরা কর্মবিরতি করছেন শাসকদলের বিরুদ্ধে। ভাল। তাঁরা সরকারি বেতন নিচ্ছেন তো নাকি নিচ্ছেন না? এটা আমার প্রশ্ন। বোনাস নেবেন তো? না নেবেন না? এটা আমার প্রশ্ন।’ অন্যদিকে, ডাক্তাররা ‘কসাই’ হয়ে গিয়েছেন বলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন লাভলি।