ক্রাইম

সাত বছরের নাবালিকাকে খুন করে ধর্ষণ, পুলিশি জেরায় স্বীকার করে নিল ধৃত যুবক

স্ত্রীর সন্তানলাভের আশায় তান্ত্রিকের নির্দেশে নরবলি

তিলজলায় সাত বছরের নাবালিকাকে খুনের অভিযোগ পুলিশি জেরায় ধৃত যুবক স্বীকার করে নিল, খুনের আগে শিশুটিকে ধর্ষণ এবং যৌন নিগ্রহ করে সে৷ পুলিশি জেরা মুখে অভিযুক্ত এও দাবি করেছে, সে যা করেছে সব তান্ত্রিকের নির্দেশে। তাঁর স্ত্রী এখন গর্ভবতী। এর আগে বেশ কয়েকবার স্ত্রী সন্তান ধারণ করলেও মিসক্যারেজ হয়ে যায়। সুস্থ স্বাভাবিক সন্তান পেতে হেন জায়গা নেই সে প্রার্থনা জানায়নি বলে পুলিশকে জানিয়েছ অভিযুক্ত। ধৃতের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই খুনের অভিযোগের পাশাপাশি পকসো আইনেও মামলা করেছে পুলিশ৷ ধৃতকে আজই আদালতে তুলবে পুলিশ৷ ফ্ল্যাটে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গিয়ে ছিল শিশুর দেহ।  মাথা, মুখ ও দেহে একাধিক ধারাল ও ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। সূত্রের খবর, পুলিশি জেরায় ধৃত অলোক কুমার জানিয়েছে, প্রথমে ওই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে সে৷ তার পর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে খুনের চেষ্টা করে সে৷ মৃত্যু নিশ্চিত করতে শিশুটিকে ধর্ষণও করে সে৷ তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে নাবালিকার ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ৷ সাত বছরের ওই নাবালিকাকে খুনের এই ঘটনায় রবিবার রাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় তিলজলা৷ পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে থানা ভাঙচুরের চেষ্টা করেন ওই নাবালিকার পরিবারের সদস্য এবং এলাকার বাসিন্দারা৷ জানা গেছে,  রবিবার সকালে ময়লা ফেলার জন্য ফ্ল্য়াটের বাইরে বেরিয়েছিল শিশুটি। কিন্তু এরপরে আর ফেরেনি সে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেয়ের সন্ধান পাননি পরিবারের লোকেরা। শেষে খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ সূত্রে খবর, সকাল ৮টা থেকে নিখোঁজ ছিল তিলজলা রোডের ওই নাবালিকা। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করে পরিবার। তাদের দাবি, সিসিটিভিতে পাশের বাড়িতে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল নাবালিকাকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তল্লাশির পরে ওই নাবালিকার খোঁজ পায়নি পুলিশ। কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তারা, এমনও অভিযোগ উঠেছে। ভাঙচুর করা হয় থানা চত্বরে রাখা পুলিশের গাড়ি এবং বাইক৷ ছোড়া হয় ইট৷ শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে লাঠি চার্জ করে পুলিশ৷ এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিহারের বাসিন্দা অলোক কুমারকে গতকালই গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ তিলজলার শ্রীধর রায় রোডের যে আবাসনে ওই নাবালিকা থাকত, অলোক সেই আবাসনেরই তিন তলায় থাকত৷