সেবি প্রধান মাধুরী পুরী বুচের পর এবার হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট নিয়ে ফুঁসে উঠল আদানি গ্রুপ। মার্কিন সংস্থার রিপোর্টের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তারা। জানিয়েছে, এই রিপোর্ট বিদ্বেষপূর্ণ, দুষ্ট এবং কারসাজি করে তৈরি করা হয়েছে। রবিবার সকালে আদানি গ্রুপের পক্ষ থেকে এই মর্মে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, জনগণের সামনে যে সমস্ত তথ্য রয়েছে সেগুলিকে নিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ, দুষ্ট এবং কারসাজি করা রিপোর্ট প্রকাশ করা হচ্ছে। এগুলো ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা যা পূর্ব পরিকল্পিত। এই ধরণের ভুয়ো অভিযোগগুলি প্রত্যাখ্যান করছে আদানি গ্রুপ। আদানি গ্রুপকে অসম্মানিত করার জন্য বারবার করে এই ধরণের রিপোর্ট প্রকাশ করা হচ্ছে। অভিযোগগুলি আগেও খতিয়ে দেখা হয়েছে। জানা গিয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্ট এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। হিন্ডেনবার্গের এই রিপোর্টটিকে পরিকল্পিতভাবে ভাবমূর্তি নষ্ট করার ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করেছে আদানি গ্রুপ।
কী দাবি করেছে হিন্ডেনবার্গ?
হিন্ডেনবার্গের দাবি,আদানির অফশোর কোম্পানিতে অংশিদারিত্ব রয়েছে সেবি প্রধানের। শুধু তা নয়, বাণিজ্যিক স্বার্থও জড়িয়ে রয়েছে একে অপরের সঙ্গে। হিন্ডেনবার্গের তথ্য বলছে, রিপোর্ট প্রকাশের পর ১৮ মাস কেটে যাওয়ার পরও আদানির মরিশাসের অফশোর কোম্পানিতে তাদের লেনদেনের ব্যাপারে সেবি তাৎপর্যপূর্ণ ভাবেই কোনও আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ফলে মার্কিন এই সংস্থার দাবি, মাধবী বুচ ও তাঁর স্বামী মরিশাস ও বারমুডার এমন সব ভুয়ো বিদেশি সংস্থায় বিনিয়োগ করে রেখেছেন যাদের সঙ্গে গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির প্রত্যক্ষ যোগ ছিল। এই বিনিয়োগ করা হয়েছে ২০১৫ সালে। ভারতে উপার্জিত অর্থের উপর করফাঁকি দিতে বিদেশে এই ধরণের সংস্থা খোলা হয়।