আগেই সার্ভে হয়েছিল। সার্ভে যাঁরা করেছিলেন তাঁরা মন দিয়ে করেননি। ঘূর্ণিঝড়ে যাঁদের বাড়ি ভেঙেছে সেখানে নতুন করে সার্ভে হচ্ছে। যাঁদের বাড়ি একদম ভেঙে গিয়েছে, প্রশাসন তাঁকে ২টি কিস্তিতে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পাবেন। ‘বাংলার বাড়ি প্রকল্পে’ যে টাকাটা দেওয়া হয়। যাঁরা ইতিমধ্যে ২০ হাজার পেয়ে গিয়েছেন, তাঁরা প্রথম কিস্তিতে আরও ৪০ পাবেন। প্রথম পর্যায়ে কাজ শেষ হলে, বাকি ৬০ হাজার পাবেন। শনিবার, ফুলবাড়ি দলীয় প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের সমর্থনে প্রচার সভা থেকে স্পষ্ট জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । অর্থাৎ তিনি স্পষ্ট করে দিলেন, এটা কোনও কিছু নির্বাচনী আচরণ বিধি ভেঙে কোনও ঘোষণা নয়। ‘বাংলার বাড়ি প্রকল্পে’ এই ঘোষণা গত বছরই করা হয়েছিল। জলপাইগুড়ি-সহ বিস্তৃর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাজার হাজার বাড়ি ধুলিস্যাৎ। নির্বাচনী আচারণ বিধি জারি থাকায় দুর্গত মানুষকে বাড়ি তৈরি করে দিতে নির্বাচন কমিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজি হয়নি কমিশন। উল্টে আগের নিয়মে অল্প ক্ষতিগ্রস্তদের ৫হাজার ও বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের ২০ হাজার টাকা দেওয়ার অনুমতি দেয় নির্বাচন কমিশন। ফলে চিন্তায় ছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। “দুর্গতদের বাড়ির টাকা দেবই”। ধাপে ধাপে কীভাবে সে টাকা পৌঁছবে শুক্রবার, দিনহাটা ও আলিপুরদুয়ারে জোড়াসভা থেকেই জানিয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এরপরে এদিন ফুলবাড়ি সভা থেকে তিনি বলেন, “অসমের উৎসবের জন্য টাকা দিয়েছ কিন্তু বাংলাকে টাকা দিতে আপত্তি কেন?“ তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “বিজেপি অভিযোগ করলে বেল আর তৃণমূল অভিযোগ করলে জেল!“ এর পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দেন, যাদের বাড়ি একদম ভেঙে গিয়েছে প্রশাসনের মাধ্যমে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। যাঁরা ২০ হাজার পেয়েছেন, প্রশাসন আবার ৪০ দেবে। প্রথম কিস্তির কাজ শেষ হলে, নিয়ম মতো বাকি ৬০ হাজার টাকা পাবেন। মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার প্রশাসন পৌঁছে দেবে।“ এর জন্য নতুন করে সার্ভেও হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এই ঘোষণায় আশ্বস্ত উত্তরের বিপর্যস্ত মানুষ।