মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে আবার মৃত্যু হল এক চিতার। মঙ্গলবার এই অরণ্যে মারা গিয়েছে এক পূর্ণবয়স্ক চিতা। গত ৪ মাসে এই নিয়ে মৃত্যু হল ৭টি চিতার। মঙ্গলবার সকালে নজরদারি দল চিতার ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়। তাঁরা ডাক্তারদের বিষয়টি জানান। আহত চিতাকে পরীক্ষা করে ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে পশুচিকিৎসকরা শুশ্রূষা শুরু করেন৷ মুখ্য অরণ্য সচেতক জে এস চহ্বান জানান, ‘‘দুপুর ২ টোর সময় একটি পুরুষ চিতাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়৷ তার শরীরে আঘাতের চিহ্নগুলিকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ অটোপ্সির পর চিতার মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হবে৷’’ মঙ্গলবার দুপুর দুটোর সময় মারা যায় ৪ বছর বয়সি পূর্ণবয়স্ক চিতা তেজস৷ গত ২৭ মার্চ কিডনি অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় স্ত্রী চিতা সাশার৷ এর পর ২৩ এপ্রিল পুরুষ চিতা উদয় মারা যায় কার্ডিও পালমোনারি ফেলিওরের জেরে৷ এখানেই শেষ নয়৷ মে মাসের ৯ তারিখ স্ত্রী চিতা দক্ষার মৃত্যু হয় অন্য একটি পুরুষ চিতার সঙ্গে শারীরিক সংঘর্ষে৷ অভয়ারণ্যের কর্তারা জানিয়েছেন শারীরিক মিলনের ঋতুতে শ্বাপদদুটি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে৷ পাশাপাশি চরম আবহাওয়ায় শরীরে জলশূন্যতার কারণে গত ২৫ মে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তিনটি চিতাশবাক৷ মে মাসে ৬ টি চিতার মৃত্যুর পর দক্ষিণ আফ্রিকার বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ ভিনসেন্ট ভ্যান ডার মেরওয়ে আশঙ্কা করেছিলেন আরও চতুষ্পদের মৃত্যু হতে পারে৷ তাঁদের আশঙ্কা ছিল কুনো অভয়ারণ্যে চিতামৃত্যুর হার বাড়বে৷ কারণ নির্দিষ্ট চৌহদ্দি ছেড়ে মুক্ত অরণ্যে তারা যখনই মানিয়ে নিতে যাবে, তখনই সমস্যা হবে বলে আশঙ্কা ছিল৷ সেই ধারণাই সত্যি হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে৷