আন্দোলনে জেরে সোমবার বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়েছে। তারপর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য পুরোপুরি বন্ধ ছিল। তবে বুধবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি স্থলবন্দরে আংশিকভাবে বাণিজ্য শুরু হয়েছে। হিলি, চ্যাংরাবান্ধা, মাহাদিপুর, ফুলবাড়ি এবং গোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরে পচনশীল পণ্যের বাণিজ্য পুনরায় শুরু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগণা জেলার দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোলে বৃহস্পতিবার থেকে রফতানি শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দুই দেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। তাতে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বেনাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানিয়েছেন, দু দেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে এখানে বাণিজ্য শুরু হচ্ছে। দুদেশের সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে মঙ্গলবারই পেট্রাপোল সীমান্ত পরিদর্শন করেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আধিকারিক। জানা গিয়েছে, গোজাডাঙ্গা হয়ে কিছু কার্গো চলাচল শুরু হয়েছে। এই বন্দরের মাধ্যমে লঙ্কা, হলুদ এবং গমের ভুসি মতো পণ্য বাংলাদেশে রফতানি করা হয়। এছাড়া, মালদার মাহাদিপুরে ট্রাকগুলিও পণ্য রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের রফতানিকারক সমন্বয় কমিটির সম্পাদক উজ্জল সাহা বলেন, পণ্য রফতানির পর যেসব ট্রাক বাংলাদেশে গিয়েছিল সেগুলি ফিরে আসছে। বুধবার হিলি, চ্যাংরাবান্ধা, মাহাদিপুর, ফুলববাড়ি এবং গোজাডাঙ্গার মতো স্থলবন্দর থেকে কিছু পচনশীল পণ্য রফতানি হয়েছে বলে তিনি জানান। আজ থেকে বাণিজ্য পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে তিনি জানান। মূলত বাংলাদেশে ভারতের প্রধান রফতানি করা পণ্যগুলির মধ্যে রয়েছে শাকসবজি, কফি, চা, মশলা, চিনি, মিষ্টি, পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম তেল, রাসায়নিক, তুলো, লোহা ও ইস্পাত এবং যানবাহন। অন্যদিকে, ভারতে বাংলাদেশের রফতানি করা সামগ্রী হল টেক্সটাইল এবং পোশাক।