ফের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি ব্লকের পাটকেলডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের দিয়ার বালাগাছি গ্রামে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রাপ্য টাকা একজনের বদলে চলে যাচ্ছে অন্যজনের অ্যাকাউন্টে। সোমবার এই মর্মে ৩৭ জন গ্রামবাসী মিলিত হয়ে বিডিওকে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নাম থাকা সত্ত্বেও দিয়ার বালাগাছি গ্রামের যোগ্য গ্রাহকের অনেকেই কোনও টাকা পাননি। এদের মধ্যে কারও কারও কাছ থেকে ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছে পঞ্চায়েত সদস্যরা। কিন্তু তারপরেও ব্যাঙ্কে টাকা ঢোকেনি। বরং তালিকায় নাম ছিল না এমন ব্যক্তিকে ওই টাকা দেওয়া হয়েছে। আবার কোনও ব্যক্তিকে সরকারি নথিতে মৃত ঘোষণা করে অন্যজনের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, বিডিও অফিসে অভিযোগ জানিয়েও
আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বিজ্ঞাপনে থাকা মহিলার নিজের কোনো বাড়ি নেই, থাকেন ভাড়া করা ঝুপড়িতে
কোনও সুরাহা হয়নি। অভিযোগ জানানোর পরও যোগ্য প্রাপকরা টাকা পাননি। দ্বিতীয় কিস্তির টাকাও অন্যজন পেয়ে গেছেন।
এক অভিযোগকারী সাইফুল ইসলাম জানান, ‘আমি ব্যাঙ্গালোরে কাজ করতাম। তিনমাস আগে বাড়ি ফিরে আসি। তখন জানতে পারি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আমার আইডির টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে ঢুকে গেছে। প্রধানকে জানানো সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি। তিন মাস হয়ে গেল এখনও পর্যন্ত অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা আসেনি।’ আরেক অভিযোগকারী মফিজুল শেখ বলেন, ‘বছর দেড়েক আগে পঞ্চায়েত সদস্য মইনুলকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা পাওয়ার জন্য আমি দশ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। পরে আমার কাছ থেকে আরও পাঁচ হাজার টাকা চেয়েছিলেন উনি। কিন্তু আমি দিইনি। পরে ওই পঞ্চায়েত সদস্য অন্যের কাছ থেকে আরও বেশি টাকা পেয়ে আমার প্রাপ্য টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়ে দিয়েছে। বিডিও অফিসে অভিযোগ জানাতে গিয়ে দেখি আমার নাম সরকারি খাতায় মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আমি চাই এই ঘটনার যেন সঠিক তদন্ত করা হয়।’