এ বার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে পৌঁছে গেল তৃণমূল কংগ্রেসের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলে, জ্যোৎস্না মাণ্ডি ও উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল নেতা ললিতেশ ত্রিপাঠী। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গতকালই এই সফরের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল । এর আগে দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠায় ঘাসফুল শিবির । তবে যোগীরাজ্যে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের যাওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ । যেখানে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে । এর আগে হাথরস কাণ্ডের সময়ও যোগীরাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু তাঁদের ঢুকতে দেয়নি যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন । কিন্তু এ বার তাঁরা প্রয়াগরাজের ওই এলাকায় ঢুকতে গিয়ে কোনও বাধার মুখে পড়েননি ।তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সদস্য সাকেত বলেছেন, “প্রয়াগরাজে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত মর্মান্তিক । বিজেপি নিজের রাষ্ট্রশক্তির ক্ষমতা দিয়ে সমস্ত সংবাদমাধ্যমের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে । তাই ঘটনাটির ভয়াবহতা প্রকাশ্যে আসেনি । উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকার এবং বিজেপি যে রাজ্য শাসনে ব্যর্থ হয়েছে, সে কথাই জনসমক্ষে তুলে ধরব আমরা ।”উত্তরপ্রদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রাক্তন সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর দাবি করেছেন, “যোগীরাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই । আইনের শাসন তাদের কাছে আশা করাই মুর্খতা । আমরা গোটা পরিস্থিতি দেখে যাচ্ছি । সবটাই তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তুলে ধরব । এরপর তিনি জনগণকে জানাবেন, যোগীর ডবল ইঞ্জিন সরকারে কতটা ভালো আছে উত্তরপ্রদেশের মানুষ ।”