বিনোদন

চিত্রনাট্য চুরির অভিযোগ, কাঠগড়ায় অজয় দেবগনের ময়দান

বক্স অফিসে আজই মুক্তি পেল অজয় দেবগণ অভিনীত ‘ময়দান’ ছবিটি। ইতিমধ্যেই সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে ছবিটি। বক্স অফিসে ধীরে হলেও শুরু হয়েছে লক্ষ্মীলাভ। কিন্তু তার মাঝেই বির্তক। ছবির নির্মাতাদের বিরুদ্ধে চিত্রনাট্য চুরির অভিযোগ উঠল। এমনকী গোটা বিষয়টি গড়াল আদালত পর্যন্তও। যার শুনানিতে আদালত আপাতত ছবিটির মুক্তি স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়। কিন্তু যতক্ষণে এই নির্দেশনামা এসে পৌঁছয় ততক্ষণে ছবিটি মুক্তি পেয়ে যায়। মামলাটি করেছিলেন কর্ণাটকের চিত্রনাট্যকার অনিল কুমার। তাঁর অভিযোগ ছিল, ‘২০১০ সাল থেকে একটি চিত্রনাট্য লিখেছিলাম। ২০১৮ সালে সেই চিত্রনাট্য অনুযায়ী, একটা পোস্টার তৈরি করে লিঙ্কডিনে শেয়ার করেছিলাম। সেটি দেখে আমাকে বিজ্ঞাপনের পরিচালক এবং ময়দান ছবির সহপরিচালক সুখদাস সূর্যবংশী মুম্বইয়ে ডেকে পাঠান। সুখদাসকেই আমি পুরো চিত্রনাট্য শুনিয়ে ছিলাম। উনি বলেছিলেন আমির খানের প্রোডাকশনেই তৈরি হবে ছবিটি। তাঁর সঙ্গে দেখা করানোর কথা থাকলেও সেটি আজ পর্যন্তও হয়ে ওঠেনি। এমনকী, স্ক্রিন রাইটার্স অ্যাসোশিয়েশানে আমার ওই চিত্রনাট্যটি রেজিস্ট্রার করা হয়। কিন্তু তারপরে আর কোনও কথা এগোয়নি। এর মাঝেই হঠাৎ করেই অজয়ের ময়দান ছবির টিজার দেখি। তখনই দেখতে পাই ওই গল্পের সঙ্গে আমার লেখা চিত্রনাট্যের মিল রয়েছে। আমিও ১৯৫০ সালের একই গল্প নিয়ে চিত্রনাট্য লিখেছিলাম। পরে জানতে পারি ময়দানে গল্পটা একটু বদল করে সিনেমাটি বানানো হয়েছে। আমার ছবির নাম রেখেছিলাম ‘পদনদুকা।’ চিত্রনাট্য চুরির অভিযোগে মহিশূর আদালতে মামলাও করেছেন অনিল কুমার। তাঁর অভিযোগের উপর ভিত্তি করেই ‘ময়দান’ ছবির মুক্তি আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নির্দেশ পাওয়ার আগেই ছবিটি মুক্তি পেলেও ‘ময়দান’ ছবির প্রযোজক বনি কাপুর বিষয়টি নিয়ে কর্ণাটকে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলায় উচ্চ আদালত ছবিটি আপাতত চলার পক্ষেই রায় দিয়েছে। প্রযোজনা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, মহিশূর আদালত এক তরফের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁদের কথা বলার সুযোগও দেওয়া হয়নি। আর নির্দেশের কপি এসেছে সিনেমা মুক্তির পর তাই আপাতত ছবিটি হল থেকে সরানো হচ্ছে না। মহিশূর আদালতে ওই মামলাটির শুনানি রয়েছে আগামী ২৪ এপ্রিল। ‘ময়দান’ ছবিতে অজয় দেবগন অভিনয় করেছেন ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ সায়েদ আব্দুল রহিম ওরফে রহিম সাহেবের চরিত্রে। স্বাধীনতার ৫ বছর পর ১৯৫২-৬২ সাল পর্যন্ত বিশ্বের দরবারে ভারতীয় ফুটবলের গৌরবগাথাই তুলে ধরা হয়েছে ছবিটিতে। যার পিছনে অবদান ছিল রহিম সাহেবের। সেই গল্পই বলা হয়েছে ‘ময়দান’ ছবিতে।