মাঙ্কিপক্স নিয়ে এখনই চিন্তার কোনও কারণ নেই। জানিয়ে দিলেন কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সরণ প্রকাশ পাটিল। তিনি বলেন, আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে এই মাঙ্কিপক্স ভয়াবহ আকার নিলেও ভারতে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। এখানেই থেমে থাকেননি মন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ভারত মাঙ্কিপক্স মোকাবিলায় প্রস্তুত। তাই অহেতুক চিন্তার কোনও কারণ নেই।একটু সতর্ক থাকলেই আটকানো যায় মাঙ্কিপক্স। এটি দুই থেকে চার সপ্তাহ থাকে। সঠিক ওষুধ এবং চিকিৎসা পেলেই এর থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। তবে যার এই রোগ হয়েছে তার থেকে অন্যের দেহে এই রোগ অতি দ্রুত ছড়ায়। তাই একটু সাবধান থাকতেই হবে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক নির্দেশিকা দিয়েছে। সেইমত কাজ করছে বিভিন্ন রাজ্য। শুধু কর্ণাটক নয়, দেশের অন্য রাজ্যেও যাতে মাঙ্কিপক্স ছড়ায় সেজন্য নজর রাখা হচ্ছে।ভারতের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলিতে যারা বিদেশ থেকে আসছেন তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। ভারতে যাতে কোনওভাবেই এই রোগ ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য আগাম বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা। বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। তালিকায় রয়েছে স্যানিটাইজেশন, প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন রাখা, বিমানবন্দর, বন্দর, গ্রাউন্ড ক্রসিংয়ে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা। এছাড়াও দেশে ৩২টি ল্যাবরেটরিতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। যদি কারও শরীরে মাঙ্কিপক্স থাবা বসায় সে ক্ষেত্রে তাদের আইসোলেট করে রাখার বন্দোবস্ত নিয়েও তৈরি থাকতে বলেছেন জেপি নাড্ডা। মূলত যৌন সঙ্গম, শরীর নির্যাসিত রস এবং জামাকাপড় থেকে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়াও শ্বাসনালি, ক্ষতস্থান, নাক, মুখ কিংবা চোখের মাধ্যমে এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে সুস্থ ব্যক্তির দেহে। মাঙ্কিপক্স বা এমপক্সের নয়া স্ট্রেন আরও ভয়ঙ্কর, যার প্রকোপে ঘটছে শিশুমৃত্যু এবং গর্ভপাতের মতো ঘটনা। সাধারণত বন্য পশুপ্রাণী থেকেই এই অসুখ মানদবদেহে ছড়ায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গিয়েছে, এক ব্যক্তির থেকে অপর ব্যক্তির শরীরে অনায়াসেই ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কিপক্স।