সিবিআই হেফাজত এড়াতে হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ থেকে ডিভিশন বেঞ্চে দৌড়েও কোনও সুরাহা পেলেন না রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ কলকাতা হাইকোর্টের কোনও বেঞ্চেই সুরক্ষা পেলেন না তিনি । গত ১৮ মে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশ পরিবর্তন করল না ডিভিশন বেঞ্চ । তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর যে ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি, তা এই মুহূর্তে বাধ্যতামূলক নয় বলেই মনে করেছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি আনন্দ মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ৷
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কিন্তু কমিটিতে যে সদস্যরা ছিলেন, তাঁরা সরাসরি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । তাঁকেই রিপোর্ট করতে হত । আমি এখন নির্দেশ দেব শিক্ষা দফতরকে ফাইল আদালতে জমা করতে যাতে বিষয়টি পরিষ্কার হয় ।’’একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর সম্পত্তির হিসেব আদালতে জমা করতে হবে গরমের ছুটির পর । আমি চোখ বুজিয়ে কোনও বাচ্চার মতো নির্দেশ দিইনি । আমি সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে তারপর নির্দেশ দিয়েছি ।’’বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কল্যাণকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনি জানেন তাঁর (পার্থ চট্টোপাধ্যায়) সারমেয় পুষতে কত খরচ হয় ?’’ তখন কল্যাণ বলেন, ‘‘কিন্তু বিচার পাওয়ার অধিকার সবার আছে। ওঁর সম্পত্তি সম্পর্কে আমার ধারণা নেই ।’’এর পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, ‘‘ওঁর এত আয় কোথা থেকে হয় ? রাজনৈতিক নেতাদের এত সম্পত্তি কোথা থেকে হয় ?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সেদিন রাতে আমি অবাক হয়ে গিয়েছি। মধ্যরাতে কলকাতা হাইকোর্টের ৮ জন অফিসার তাঁদের কাজ করছেন হাসি মুখে । তাঁদের ভঙ্গিটাই এই রকম ছিল যে আমরা কাজ করছি । আমার কলকাতা হাইকোর্টের কর্মী অফিসারদের সম্পর্কে ধারণাই বদলে গিয়েছে । রাত ২ টোর সময় হাসতে হাসতে তাঁরা বাড়ি গিয়েছেন ।’’ এর পর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় সিবিআইয়ের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতা করতে তৈরি । সুরক্ষা দেওয়া হোক যাতে তাঁকে গ্রেফতার না করা হয় ।’’ বিচারপতি বলেন, ‘‘সম্ভব নয় ।’’ একই সঙ্গে তাঁর নির্দেশ, এখন থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মামলায় যুক্ত করা হল ।অন্যদিকে এসএসসির কমিটির তিন সদস্য সুকান্ত আচার্য, প্রবীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, ও টি পাঁজা তাঁদের সম্পত্তির হিসাব আদালতে জমা দিয়েছেন ৷