হক জাফর ইমাম মালদা: চাহিদা মতো গৃহবধূর পরিবারের কাছ থেকে পনের টাকা না মেলায় এক গৃহবধূকে অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠলো শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার মালদা চাঁচল ১ নং ব্লকের ভগবানপুর জিপির ভগবানপুর গ্রামে। মৃত ওই বধূর নাম দিপানিতা সাহা (২৪))। তাঁর বাপের বাড়ি মকদমপুর জিপির মোবারকপুর গ্রামে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, বছর দুয়েক আগে চাঁচল ১ নং ব্লকের ভগবানপুর জিপির ভগবানপুর গ্রামের বাসিন্দা এক কাঁচা সব্জী ব্যবসায়ী রাকেশ সাহার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। ঘটনায় মৃতার স্বামী রাকেশ সাহা, ভাশুর রাহুল সাহা,ও মেয়ের শ্বশুর- শাশুড়ি মোট চারজনের বিরুদ্ধে মেয়ের বাবা উত্তম সাহা শুক্রবার অভিযোগ দায়ের করেছেন চাঁচল থানায়। পুলিশ মৃতদেহ ময়না-তদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মেয়ের বাবা উত্তম সাহা বলেন, ‘অত্যন্ত লাজুক ও মুখচোরা মেয়ে। সংসার করবে বলে সব অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করত। আমাদের বৃদ্ধ বাবা-মাকে বুঝতেই দেয়নি ওর ওপর কী অত্যাচার হয়েছে।’ বাবার অভিযোগ, ‘টাকার প্রতি ওর শ্বশুরবাড়ির লোকের খুব লোভ ছিল। তবে বিয়ের সময় পণ দেওয়া হয়েছিল। আবারও দুই লক্ষ্য টাকার জন্য জন্য মেয়ের উপর প্রায়শই অত্যাচার চালাতো। আমাদের মেয়েকে ওরা অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে বলে অভিযোগ বাবা উত্তম সাহার।মেয়ের মা জয়শ্রী সাহা চাঁচল হাসপাতালে নয়ন বুজে কেঁদে কেঁদে বলেন, কালকে মেয়ের সাথে দুপুর বেলায় ফোনে কথা হয়েছে। মেয়ে কিছু বলেনি। তিনটার সময় শুনতে মেয়ে নাকি ঝুলন্ত অবস্থায় ঘরের মধ্যে মরে আছে।
তবে মেয়ের পরিবারের দাবী,অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়েছে মেয়েকে। ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের ফাঁসির দাবী জানিয়েছে মেয়ের পরিবার। জানা যায় তাদের ১ টি ১৫ মাসের পুত্র সন্তানও রয়েছে। আর এই ঘটনাকে গিরে শুক্রবার মেয়ে ও ছেলে পক্ষের মধ্যে বিবাদ বাদে চাঁচল হাসপাতালে। পুলিশ এসে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে। এবিষয়ে চাঁচল থানার আই.সি সুকুমার ঘোষ জানান, ইতিমধ্যেই মৃতার স্বামী,ভাশুর ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুড়িয়ে মারা হয়েছে কি অন্য কোনো রহস্য তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়েই বলা যাবে।