অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে বাদ পড়ল চাল, গম, ডালের মতো শস্যবীজ এবং আলু, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, তৈলবীজ
বুধবার ১৯৫৫ সালের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের সংশোধনীতে সম্মতি দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এর ফলে খাদ্যশস্য, খাদ্যবীজ, তৈলবীজ, পেঁয়াজ ও আলুর মত কৃষিপণ্যে বিনয়ন্ত্রণ হল। এই অর্ডিন্যান্সের ফলে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে বাদ পড়ল চাল, গম, ডালের মতো শস্যবীজ এবং আলু, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, তৈলবীজ। এর ফলে এককথায় কৃষিপণ্যের বাধাহীন বাণিজ্যের নতুন দরজা খুলে দিল কেন্দ্র। পাশাপাশি একটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়েছে, যার ফলে কৃষকরা প্রক্রিয়াকরণকারী, সংগ্রহকারী, বড় পাইকার, রফতানিকারকদের সঙ্গেও বন্দোবস্ত করতে পারবেন। এক সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, মন্ত্রিসভা এই অর্ডিন্যান্স পাশ করার মাধ্যমে কৃষিপণ্যের বাধাহীন বাণিজ্যের পথ খুলে দিয়েছে। এর ফলে কৃষকদের আর তাঁদের শস্য কেবলমাত্র জেলা বা তালুকের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রির বাধ্যবাধকতা রইল না। অন্য আরেকটি অর্ডিন্যান্সের ফলে কৃষকরা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণকারী, সংগ্রহকারী, বড় পাইকার, রফতানি কারকদের সঙ্গে একাসনে বসতে পারবেন, এবং তাঁদের আর কোনও শোষণের আশঙ্কাও থাকবে না। তিনি বলেন, এর ফলে ভারতের কৃষকদের যেমন সহায়তা হবে, তেমনই কৃষিক্ষেত্রেরও উন্নতি হবে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনে প্রস্তাবিত সংশোধনী বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের অত্যধিক নিয়ামক নীতির বেড়াজালের আশঙ্কা থেকে মুক্তি মিলবে।