দেশ

প্রতারণার অভিযোগে এফআইআর দায়ের হল রামদেব-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে

এফআইআর দায়ের করা হল বাবা রামদেবের বিরুদ্ধে। সঙ্গে আরও চারজনের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করা হয়েছে। করোনার ওষুধ হিসেবে ‘‌করোনিল’–এর প্রচার ও ‘‌ভাওতাবাজির’‌–এর অভিযোগে। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তার মধ্যে ৪২০ ধারা বা প্রতারণাও পড়ছে। ৩০ জুন শুনানির দিন স্থির করেছে আদালত। গত মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বাবা রামদেব দাবি করেছিলেন তাঁর আয়ুর্বেদিক ওষুধের কোম্পানি পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ ‘‌করোনিল’‌ এবং ‘‌স্বসরী’‌ নামে করোনাভাইরাস নিরাময়ের ওষুধ বের করেছে। সংস্থার দাবি, ওই দুটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ নাকি কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত রোগীদের উপর পরীক্ষিত এবং ১০০ শতাংশ সুফলও দিয়েছে।‌ কিন্তু কেন্দ্রীয় আয়ুষমন্ত্রক জানিয়েছিল, কোনও করোনার রোগীর ওপরে এখনই প্রয়োগ করা যাবে না। আগে পরীক্ষানিরীক্ষার সমস্ত রিপোর্ট মন্ত্রকের হাতে তুলে দিতে হবে। এছাড়া ‘‌করোনিল’‌ এবং ‘‌স্বসরী’‌–এর কোনও বিজ্ঞাপনও করা যাবে না। মহারাষ্ট্র, গুজরাট ও রাজস্থানের সরকার জানিয়ে দিয়েছে, তাদের রাজ্যে পতঞ্জলির করোনার ওষুধ ‘‌করোনিল’‌ বিক্রি করা যাবে না। রাজস্থান সরকার এও জানিয়ে দিয়েছিল, যদি কোনও ব্যক্তি রামদেবের সংস্থার করোনার ওষুধ বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু তারপরেও দেখা যায়, জয়পুরের একটি হাসপাতাল এনআইএমএস ইতিমধ্যেই রামদেবের করোনার ওষুধ প্রয়োগ শুরু করে দিয়েছিল। এই ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে রাজস্থানের স্বাস্থ্যদপ্তর হাসপাতালে নোটিস পাঠিয়েছিল। স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান মেডিক্যাল আধিকারিক ডাঃ নরোত্তম শর্মার কাছে জানতে পারা যায়, হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে অনুমতি চায়নি ওষুধ প্রয়োগের আগে। এবং এবিষয়ে একবারও অবগত করেনি। এরপরেই শুক্রবার জয়পুর জ্যোতিনগর থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের স্রষ্টা যোগা গুরু রামদেব, পতঞ্জলির সিইও আচার্য বালকৃষ্ণ, বিজ্ঞানী অনুরাগ ভার্শনে, এনআইএমএস–এর চেয়ারম্যান বলবীর সিং তোমর ও কর্মকর্তা অনুরাগ তোমরের বিরুদ্ধে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা করোনার ওষুধ হিসেবে ‘‌করোনিল’‌–এর বিভ্রান্তিকর প্রচারে নেমেছেন। সেকথা জানালেন জয়পুর জ্যোতিনগর থানার আধিকারিক সুধীর কুমার উপাধ্যায়। এফআইআর দায়ের করেছেন বলরাম জখর। এক অভিযুক্ত বলবীর সিং তোমর জানিয়েছেন, ‘‌করোনা রোগীর ওপর পরীক্ষা করার জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় অনুমতি আমাদের কাছে ছিল। সিটিআরআই থেকে অগ্রিম অনুমতিও নেওয়া হয়েছিল। এটি আইসিএমআরেরই একটি শাখা বিভাগ। আমার কাছে অনুমতির কাগজপত্রও রয়েছে।