পথ দেখিয়েছিলেন ববিতা সরকার। সেই পথেই তাঁর বিরুদ্ধে আইনের লড়াইয়ে নামতে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ শুরু করেছেন শিলিগুড়ির তরুণী অনামিকা রায়। পর্ষদের ভুলে ২ নম্বর বেশি পেয়ে যাওয়ায় একেবারে আট ধাপ লাফিয়ে র্যাংকে ২০-তে উঠে এসেছিলেন ববিতা। একধাপ পিছিয়ে ২১-এ চলে যান অনামিকা। এই ভুলের কথা প্রকাশ্যে আসতেই নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে ববিতার চাকরি নিয়ে। প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী তণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা হঠাৎ এসএসসি-র রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে তপশিলি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ওয়েটিং লিস্টে তালিকায় প্রথম হয়ে যান। পরবর্তীতে সেই ১৯ জন চাকরি পান। ওয়েটিং লিস্টের ২০ নম্বরে ছিলেন ববিতা সরকার। তিনি অঙ্কিতার চাকরি পাওয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন হাইকোর্টে। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর জয় পান ববিতা। অঙ্কিতার কর্মস্থলে তাঁর জাযগায় চাকরিও পেয়েছেন তিনি। এবার নতুন করে এসএসসি-র তথ্যে উঠে আসে, ববিতাকে ভুল করে ২ নম্বর অ্যাকাডেমিক স্কোরে বেশি দেওয়া হয়েছে। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে ববিতার র্যাংক নিয়ে। ববিতার পরই র্যাংকে ২১ নম্বরে নাম রয়েছে শিলিগুড়ির অনামিকার। বৃহস্পতিবার অনামিকার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানিয়ে দেন, ববিতা আইনি লড়াই করে চাকরি পেয়েছেন। তাঁর দেখানো পথেই হাঁটতে চান অনামিকা। তাঁর দাবি, পর্ষদ বা ববিতা যাঁরই ভুল হোক, ২ নম্বর বেশি পেয়েছেন ববিতা। কিন্তু ভুল তো ভুলই। ওঁর ২ নম্বর কমলে আমি পরবর্তী ওয়েটিং লিস্টে এগিয়ে যাব। তাই আমাকেই চাকরি দেওয়া উচিত। কার কাছে চাকরির দাবি জানাবেন? প্রশ্ন করলে তাঁর উত্তর, যেহেতু আইনের পথে চাকরি পেয়েছেন ববিতা তাই আমিও আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছি। এক আইনজীবীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি ছুটিতে আছেন। কলকাতায় ফিরলেই তাঁর পরামর্শ নেব এবং প্রয়োজন হলে ববিতার বিরুদ্ধে মামলা করব। ববিতা অবশ্য আগেই জানিয়েছেন, বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাঁর আস্থা আছে। আদালত যা রায় দেবে তিনি তা মেনে নেবেন। তাঁর বক্তব্য, আমি জানি না কেউ মামলা করবে কি না। তবে নিজে দেখে হাইকোর্টের নজরে বিষয়টি নিয়ে আসব। কারণ আমি বিএ-তে সঠিক নম্বর(৫৫%) দিলেও পর্ষদ আমাকে অ্যাকাডেমিক স্কোরে ২ নম্বর বেশি দিয়েছে। আমি জানার পরই আমার আইনজীবীকে জানিয়েছি। হাইকোর্ট খুললেই আদালতে সবটা তুলে ধরা হবে।