কলকাতা পুজো

পুজো উদ্যোক্তারা স্বাস্থ্য বিধি মানছেন কি না, তা খুঁটিয়ে পরিদর্শন করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার

কলকাতাঃ করোনা পরিস্থিতিতে পুজো উদ্যোক্তারা সরকারি বিধি মানছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার কলকাতার কয়েকটি মণ্ডপ পরিদর্শন করেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। পুজোয় ঠাকুর দেখার লাইনে যাতে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় থাকে, তার জন্য মানুষের সচেতনতাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন দেওয়া হচ্ছে।করোনা পরিস্থিতিতে পুজো উদ্যোক্তারা সরকারি বিধি মানছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার কলকাতার কয়েকটি মণ্ডপ পরিদর্শন করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা । পুজোয় ঠাকুর দেখার লাইনে যাতে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় থাকে, তার জন্য মানুষের সচেতনতাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার নেতাজি ইন্ডোরে এই নিয়ে বৈঠকে বিভিন্ন থানার আধিকারিকদের নিজেদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। পুলিশ কমিশনারের পরের গন্তব্য ছিল নিউ আলিপুরের সুরুচি সংঘ। সেখানকার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে তিনি যান নাকতলা উদয়ন সংঘে। এরপর পুলিশ কমিশনার ও অন্য পুলিশকর্তারা মধ্য কলকাতার মহম্মদ আলি পার্ক ও উত্তর কলকাতার কলেজ স্কোয়্যার সর্বজনীনের মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। মণ্ডপ কতটা খোলামেলা রেখে পুজো হচ্ছে, পুরো বিষয়টি নিজে খতিয়ে দেখেন অনুজ শর্মা। মণ্ডপ চত্বরে দাঁড়িয়েই উদ্যোক্তা ও সহকর্মীদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলোচনা সেরে নেন। মহম্মদ আলি পার্ক অথবা কলেজ স্কোয়্যারের মতো মণ্ডপগুলিতে প্রত্যেক বছরই দর্শনার্থীরা লাইন দিয়ে ঠাকুর দেখেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এভাবে চললে সমস্যা হতে পারে। পুলিশ কমিশনার জানান, এই বছরটি অন্যান্য বছরের থেকে আলাদা। এবার করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে সুষ্ঠুভাবে পুজো সম্পন্ন করাটাই পুলিশ, পুজো উদ্যোক্তা ও সাধারণ মানুষ অথবা দর্শনার্থীদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। অনুজ শর্মা জানান, করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার যা বিধি তৈরি করেছে, তা ভালভাবেই পুজো উদ্যোক্তারা মানছেন। চারপাশ খোলা রেখেই মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। গেটগুলি এমনভাবে রয়েছে, যাতে একদিক থেকে প্রবেশ করে অন্যদিকে বের হওয়া যায়। পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য এটি অত্যন্ত জরুরি। মণ্ডপ স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা থাকছে। মণ্ডপ থেকে পুজো উদ্যোক্তারাও মাস্ক বিতরণ করবেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।