পঞ্জাবে চলল না মোদি ম্যাজিক। এমনকী নিজেদের দুর্গ ধরে রাখতে পারল না কংগ্রেস। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টির ঝড়ে উড়ে গেল কংগ্রেস- বিজেপি – অকালি সহ সব দল। সোমবার রাতে অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষায় স্পষ্ট, পঞ্জাবে এবার ক্ষমতার পালাবদল ঘটছে। কুর্সি দখল করছে আপ। কংগ্রেসের পক্ষে সান্ত্বনার কথা, ক্ষমতা হারালেও প্রধান বিরোধী দলের তকমা থাকছে। যদিও বুথ ফেরত সমীক্ষাকে মানতেই রাজি হননি পঞ্জাবের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি। তাঁর কথায়, ‘বুথ ফেরত সমীক্ষার কোনও ভিত্তি নেই। আগামী ১০ তারিখ ইভিএম খুললেই সব উল্টে যাবে।’ আবার এবিপি নিউজ সি-ভোটারের বুথফেরত সমীক্ষার ফল বলছে গোয়ায় বিজেপি পেতে পারে ১৩ থেকে ১৭টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ১২ থেকে ১৬টি আসন। তৃণমূল জোট পেতে পারে পাঁচ থেকে ৯টি আসন। ইটিজি রিসার্চের বুথফেরত সমীক্ষা বিজেপিকে দিচ্ছে ১৭ থেকে ২০টি আসন, কংগ্রেসকে তারা দিচ্ছে ১৫ থেকে ১৭টি আসন। তাদের সমীক্ষা অনুযায়ী, তৃণমূল পেতে পারে চারটি আসন। ইন্ডিয়া নিউজের বুথফেরত সমীক্ষার রিপোর্ট অনুসারে, পদ্ম শিবির পেতে পারে ১৩ থেকে ১৯টি আসন, কংগ্রেস পেতে পারে ২০ থেকে ২৫টি আসন। জনপ্রিয় সব সংস্থার ফলাফল বলছে বুথফেরত সমীক্ষার ফল বলছে, গোয়ায় এবার তৃণমূল জোট খাতা খুলতে চলেছে। গোয়া বিধানসভাকে পাখির চোখ করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ওই রাজ্যে গিয়ে প্রচার চালিয়েছিলেন। রাজ্যবাসীকে বার্তা দিয়েছিলেন গোয়া থেকে পদ্মশিবির উৎখাতের। সেই সঙ্গে জানিয়ে ছিলেন গোয়ায় তারা ক্ষমতায় এলে রাজ্যবাসীকে কী কী সুযোগ সুবিধে দেবে। বুথফেরত সমীক্ষার ফল বলে দিচ্ছে, তৃণমূল জোটের ওপর মানুষ আস্থা রেখেছে। সুতরাং, গোয়া সরকার গঠনের ক্ষেত্রে ঘাসফুল শিবির যে নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে চলেছে বুথফেরত সমীক্ষার থেকে তা স্পষ্ট।