খেলা

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ, ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ ২-১ করল অস্ট্রেলিয়া

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ। শেষ বল পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা। অবশেষে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের কাছে হার ভারতের। টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে ভারতের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় অস্ট্রেলিয়ার। ক্রিকেটের ফরম্যাট বদলালেও, বদলালেন না ম্যাড ম্যাক্স। মুম্বইয়ের পর গুয়াহাটি। আরও একবার অজি তারকার তাণ্ডব চলল। শেষ ২ ওভারে ৪৩ রান তুলে জিতল অজিরা। ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ ২-১ করল অস্ট্রেলিয়া। আরও একবার চাপের মুখে ভেঙে পড়লেন ভারতীয় বোলাররা। ম্যাক্সওয়েলের বিধ্বংসী শতরানে ম্লান ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একাই দুশো করে দলকে জেতান ম্যাক্সি। এদিন শেষদিকে পাশে পান ম্যাথিউ ওয়েডকে।‌ সৌজন্যে সূর্যকুমার যাদব। ১৮তম ওভারে ব্যক্তিগত ৬ রানে থাকাকালীন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের বলে ওয়েডের ক্যাচ ফস্কান ভারত অধিনায়ক। এটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।‌ তখন অজি অধিনায়ক ফিরে গেলে চাপ বাড়ত ম্যাক্সওয়েলের ওপর। আর কোনও প্রসিদ্ধ ব্যাটার ছিল না। আরও একবার উল্টোদিকে বোলারদের নিয়ে ভারতের পাহাড়প্রমাণ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হত। কিন্তু তাঁর কাজ সহজ করে দেন সূর্য। শেষ দু”ওভারে ৪৩ রান দরকার ছিল। অক্ষর প্যাটেলের ১৯তম ওভারে ২২ রান ওঠে। যেমন খারাপ বোলিং, তেমনই জঘন্য ঈশান কিষাণের উইকেটকিপিং। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২১ রান। প্রথম বলেই চার দিয়ে শুরু করেন অজি নেতা। শেষ ৪ বলে বাকি কাজটা সারেন ম্যাক্সওয়েল। ৪৭ বলে একশো করেন। টি-২০তে দ্রুততম শতরানের নিরিখে ছুঁয়ে ফেলেন অ্যারন ফিঞ্চ, জস ইংলিশকে। শেষপর্যন্ত ৪৮ বলে ১০৪ রানে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন ম্যাক্সি। মারকুটে ইনিংসে ছিল ৮টি ছয় এবং চার। ১৬ বলে ২৮ রানে অপরাজিত ওয়েড।‌ নির্ধারিত ওভারের শেষে ৩ উইকেটে ২২২ রান তোলে ভারত। ৫ উইকেটের বিনিময়ে শেষ বলে জয়সূচক রানে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।  প্রথম ম্যাচে সূর্যকুমার যাদব। দ্বিতীয় ম্যাচে টপ থ্রির অর্ধশতরান। এদিন সবাইকে ছাপিয়ে যান ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে শতরান করেন। মাত্র ৫২ বলে একশোয় পৌঁছে যান ঋতুরাজ। ছয় মেরে সেঞ্চুরি করেন। দুর্ধর্ষ ব্যাটিং। দুটো গিয়ারে ইনিংস পরিচালনা করেন। যখন যশস্বী, ঈশান, সূর্যকুমার ছিলেন, তখন তাঁদের সাপোর্ট সিস্টেম হিসেবে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু তাঁরা ফিরতেই সরাসরি ফোর্থ গিয়ারে। ৩২ বলে অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করেন। পরের ২০ বলে আরও ৫০ রান যোগ করেন নিজের নামের পাশে। আন্তর্জাতিক টি-২০তে ঋতুরাজের প্রথম শতরান। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে অজিদের বিরুদ্ধে ভারতেরও প্রথম। ৫৭ বলে ১২৩ রানে অপরাজিত থাকেন। বিধ্বংসী ইনিংসে ছিল ৭টি ছয়, ১৩ টি চার। ২৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতে বিপাকে পড়ে যায় ভারত। রান পাননি যশস্বী জয়েসওয়াল (৬), ঈশান কিষাণ (০)। তৃতীয় উইকেটে ৫৭ রান যোগ করেন ঋতুরাজ এবং সূর্যকুমার। যতক্ষণ ভারত অধিনায়ক ক্রিজে ছিলেন, তাঁকেই বেশিরভাগ স্ট্রাইক দেওয়ার চেষ্টা করেন ভারতীয় ওপেনার। তবে এদিন বিরাট কোহলিকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি সূর্য। ৬০ রান করলে টি-২০ তে ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম ২০০০ রানের মাইলস্টোন ছুঁতেন। কিন্তু ২৯ বলে ৩৯ করে আউট হন। ইনিংসে ছিল ২টি ছয়, ৫টি চার। তারপর তিলক বর্মাকে সঙ্গে নিয়ে দলকে বিশাল রানে পৌঁছে দেন ঋতুরাজ।