এবার অযোধ্যাতেও লাগল গণধর্ষণের দাগ। মন্দিরের পরিচারিকার কাজ করা এক কলেজ পড়ুয়া স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনলেন। অযোধ্যার কড়া নিরাপত্তা বলয় এলাকার মধ্যেই গেস্টহাউসে ধর্ষিতা হওয়ার অভিযোগ জানালেন ওই কলেজ পড়ুয়া। ঘটনার খবর জেনেও চলে টালবাহানা। অভিযোগ নিতে এক সপ্তাহ সময় নিয়েছে অযোধ্যা পুলিশ। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে আট জনকে গ্রেফতার করা হয়। কলেজ ছাত্রীর অভিযোগ, তাঁর বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে স্থানীয় এলাকা ঘোরাতে নিয়ে যাওয়ার অজুহাতে ১৬ অগাস্ট একটি গেস্টহাউসে বন্দি করে রাখে বংশ চৌধুরি নামে ওই অভিযুক্ত। সেখানে আরও দুই বন্ধুকে ডেকে এনে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। তারপর তাঁকে ভয় দেখাতে আরও তিন-চার বন্ধুকে নিয়ে আসে বংশ। বনবীরপুরে একটি বাঁধের কাছে নিয়ে গিয়ে ফের গণধর্ষণ করা হয়। পরিবারের সবাইকে ও তাঁকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ১৮ অগাস্ট তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় গেস্টহাউস থেকে। প্রাণের ভয়ে প্রথমে পুলিশে যাওয়ার সাহস দেখাননি কলেজ পড়ুয়া। এরপর ২৫ অগাস্ট ফের মন্দিরে কাজে যাওয়ার সময় তাঁকে গাড়িতে তুলে ধর্ষণের চেষ্টা করে বংশ ও তাঁর সঙ্গীরা। কিন্তু গাড়িটি পাশের ডিভাইডারে ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়ায় তরুণী পালিয়ে যেতে পারেন। এরপর ২৬ অগাস্ট অযোধ্যার ক্যান্টনমেন্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান ওই ছাত্রী। কিন্তু অভিযোগ নেয়নি পুলিশ। পরে ২ সেপ্টেম্বর অভিযোগ দায়ের হয় ও ১৩ সেপ্টেম্বর এই ঘটনার অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।যে নিরাপত্তা ব্যবস্থার আস্থায় দেশের মানুষ তাঁদের রামলালাকে সুরক্ষিত মনে করেন, সেই নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে অযোধ্যার নারীরাই সুরক্ষিত নয়। রামমন্দির হাই সিকিউরিটি জোনের ভিতরেই যোগীরাজ্যের নারীদের পণ্যের মতো ব্যবহার ফের একবার প্রশাসনিক দুর্বলতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। সেই সঙ্গে ধর্ষণের মতো ঘটনায় বিচার পাওয়া উত্তরপ্রদেশে কতটা কষ্টকর, তারও উদাহরণ হয়ে রইল অযোধ্যার গণধর্ষণের ঘটনা।