বিদেশ

রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনা, বাংলাদেশ জুড়ে জারি কারফিউ, মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১০৫

 অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ক্রমেই জটিলতর হচ্ছে বাংলাদেশে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। অবস্থা শান্ত হওয়ার লক্ষণ নেই। আজ, শনিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে কোটা মামলার শুনানি হওয়ার কথা। কিন্তু শুক্রবার ছুটির দিন সত্ত্বেও চলে দফায় দফায় সংঘর্ষ। ঝরেছে রক্ত। শনিবার ঢাকা মেট্রো স্টেশনেও আন্দোলনকারীদের আগুন লাগিয়ে দেওয়ার খবর সামনে এসেছে। ঢাকা-সহ অধিকাংশ শহরে টোটাল শাট ডাউন। বিরেল যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ, বন্ধ ইন্টারনেট। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু বেড়ে ১০৫। রাস্তায় গাড়ি চলছে অল্পস্বল্প। যাঁরা বেরোতে বাধ্য হয়েছেন, তাঁরাও দ্রুত ঘরে ফেরার চেষ্টায়। স্কুল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। অন্যদিকে রাস্তায় রাস্তায় সংঘর্ষ। সেনা-পুলিসের সঙ্গে ছাত্র-বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তাল ঢাকার রাজপথ। রাস্তার পাশে সার দিয়ে দাঁড় করানো গাড়ি পুড়ে ছাই। হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজা-সহ অন্তত ২০ জায়গায় বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। বাদ যায়নি বাংলাদেশ টিভির সদর দফতর। সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। শুধু বৃহস্পতিবারই ২০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।  দীর্ঘ ২০ বছরের শাসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এত বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আর কখনও হননি। তাঁর আলোচনার প্রস্তাব বিক্ষোভকারীরা ইতিমধ্যেই খারিজ করে দিয়েছে। দু’হাজার ১৮-র কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় কোটা ব্যবস্থা খারিজ হয়ে গেলেও এ বছর জুনে আদালত মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের নির্দেশ দেয়। তারপর থেকেই ধিকি ধিকি জ্বলতে জ্বলতে বোমার মত ফেটে পড়েছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে হাসিনার মন্তব্য, যারা কোটা বিরোধী, তারা সবাই রাজাকার, আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে। কোটা বিরোধী এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে মূলত ছাত্রসমাজ। ভালমত প্রভাব রয়েছে জামাত শিবিরের। পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না হাসিনা। ঢাকার রাস্তায় শুধু পুলিস বা RAB নয়, নেমে পড়েছে সেনা, সীমান্ত রক্ষী বাহিনীও। অন্যদিকে, ঢাকার পরিস্থিতির দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে দিল্লি। হাজার সাতেক পড়ুয়া-সহ দশহাজার ভারতীয় এই মুহূর্তে বাংলাদেশে। তাঁদের বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরোতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।