বিদেশ

বাংলাদেশের ‘প্রধান’ হিসেবে শপথ নিলেন ইউনুস

শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার ৭২ ঘণ্টা পর বাংলাদেশে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বৃহস্পতিবারে এই সরকারের প্রধান হিসাবে শপথ পাঠ করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুস। তাঁর মন্ত্রিসভায় আজ দফতর বণ্টন হয়েছে। কোন মন্ত্রক কে পেলেন? একনজরে দেখে নেওয়া যাক –

অর্থ থেকে শিল্প মন্ত্রক- এই মন্ত্রকগুলির মধ্যে, বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর মহম্মদ সালেহ উদ্দিন আহমেদ পাচ্ছেন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রক। এককালে তিনি ছিলেন তৎকালীন বাংলাদেশে পাকিস্তানি সিভিল সার্ভিসের ক্যাডার। শিল্প মন্ত্রক পাচ্ছেন প্রাক্তন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদিলুর রহমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল পাচ্ছেন, আইন বিচার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক। 

২৭ টি মন্ত্রকের দায়িত্বে ইউনুস– বাংলাদেশের নয়া অন্তর্বর্তী সরকারে রয়েছে ২৭ টি মন্ত্রক থাকবে সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের তত্ত্বাবধানে। এই ২৭ মন্ত্রকের মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা, সশস্ত্র বাহিনী, শিক্ষা, সড়ক, সেতু, খাদ্য, গৃহ নির্মাণ, ভূমি, বস্ত্র, কৃষি, বিজ্ঞান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি রেল, নৌ পরিবহন, মহিলা ও শিশু উন্নয়ন, জল, দুর্যোগ মোকাবিলা, তথ্য ও সম্প্রচার, প্রবাসী কল্যাণ, বাণিজ্য, সাংস্কৃতিক, অসামরিক বিমান পরিবহন, প্রাথমিক শিক্ষা ও গণশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রক। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রকও রয়েছে তাঁর দায়িত্বে।

পল্লী উন্নয়ন, স্বরাষ্ট্র থেকে বিদেশমন্ত্রক- বাংলাদেশের বিদেশ সচিব ছিলেন তৌহিদ হোসেন, তিনিই পেলেন বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্ব। হাসান আরিফ পেয়েছেন পল্লী উন্নয়ন, সমবায় মন্ত্রকের দায়িত্ব। পরিবেশের জন্য কাজ করে একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, তিনি পেয়েছেন পরিবেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব। শরমিশ খুরশিদ পেয়েছেন সমাজকল্যাণ বিষয়ক দায়িত্ব। প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন পেয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রক খালিদ হোসেন পেয়েছন।

তথ্য প্রযুক্তি থেকে মৎস, ক্রীড়ার দায়িত্বে কারা- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হলেন মহম্মদ নাহিদ ইসলাম, তিনি রয়েছেন তথ্য প্রযুক্তি, ডাক, টেলিকম মন্ত্রকের দায়িত্বে। মৎস বিষয়ক মন্ত্রী ফরিদা আখতার। আসিফ ভুঁইঞা পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া দফতর। স্বাস্থ্যের দায়িত্বে নূরজাহান বেগম।

ইউনুস মন্ত্রিসভায় আর কারা- ইউনুস মন্ত্রিসভায় রয়েছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক বিধানরঞ্জন রায়, প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত সুদীপ চাকমা, বাংলাদেশের নৌসেনার প্রাক্তন অফিসার ফারুকি আজম। তাঁরা বৃহস্পতিবার শপথ পাঠ করতে পারেননি, ঢাকার বাইরে থাকার কারণে।