Uncategorized

পুরীর জগন্নাথের স্নানযাত্রা, ১৬ ঘণ্টার জন্য বন্ধ দর্শন

রথযাত্রা উপলক্ষে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। একাধিক আচারের জন্যও দিনক্ষণ নির্ধারিত করেছে শ্রী জগন্নাথ মন্দির অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। তার মধ্যেই এবার ১৬ ঘণ্টার জন্য মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত। ভগবান জগন্নাথের স্নানযাত্রা উপলক্ষে ভক্তদের জন্য পুরীর মন্দিরের দ্বার বন্ধ থাকবে। পুরীর জগন্নাথধামে অনুষ্ঠিত হবে দেবস্নান পূর্ণিমা। এই কারণে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে বন্ধ করা হয়েছে দর্শন। শনিবার মধ্যরাত ২টো পর্যন্ত বন্ধ থাকবে মন্দির। এমনটাই জানিয়েছে শ্রী জগন্নাথ মন্দির অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে দ্বৈতপতি সেবায়েতরা গর্ভগৃহে প্রবেশ করেন। তাঁরা পালন করেন ‘বহুত কথা’ রীতি। বাবলা গাছের একটি আট ফিট দীর্ঘ এবং তিন ফিট মোটা গুঁড়ি সাক্ষীগোপাল থেকে নিয়ে আসা হয়। ‘সেনাপতা লাগি’ এবং ‘বহুত কথা’ রীতি পালনে তা ব্যবহার করেন সেবায়েতরা। এই গাছের গুঁড়ি ভগবান জগন্নাথের অস্ত্র হিসেবে তৈরি করা হয়। এগুলিকে সিল্কের কাপড়ে দিয়ে বাঁধা হয়। এই সেনাপাতা লাগি এবং বহুত কথা রীতি পালিত হয় পহন্দি, স্নানযাত্রা, গুণ্ডিচা যাত্রা, অদপা যাত্রা, নীলাদ্রি বিজের সময়। রথযাত্রার আগে দেবস্নান যাত্রা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। এই সময় ভগবানের মূর্তিগুলিতে গর্ভগৃহ থেকে বের করে আনা হয়। ১০৮টি পাত্রের থেকে সুগন্ধিযুক্ত জল দিয়ে স্নান করানো হয় মূর্তিগুলিকে। রাজবেশে সাজিয়ে তোলা হয় দেবস্নানের পর। রথযাত্রার আগে ২১ দিন ধরে পালিত হয় চন্দন যাত্রা। পুরীতে চন্দনযাত্রা রীতি অনুযায়ী, পুরীর পবিত্র নরেন্দ্র ট্যাংক এলাকাতেই ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার রথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এই নির্মাণ কাজ শুরুর মাধ্যমে সূচনা হয়েছে রথ খলা উৎসবের। তিনটি সুবিশাল রথ নির্মাণ করা হচ্ছে জগন্নাথ মন্দিরের বাইরে গ্র্যান্ড রোডের উপর।