দেশ

ভিন রাজ্যে বাংলার পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু, র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ পরিবারের

মেদিনীপুরের বাসিন্দা বছর ১৯-এর সৌরদীপের মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য।কম্পিউটার সায়েন্সের বিটেক কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন অন্ধ্র প্রদেশের বিজয়ওয়াদার কে এল বিশ্ববিদ্যালয়ে। পেশায় মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ড. সৌরভ চৌধুরী আজকাল ডট ইনকে কান্নার স্বরে জানান, তাঁর ছেলে র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিল কলেজে। ১৪ জুলাই বিজয়ওয়াদায় বাবার সাথে পৌঁছে যান সৌরদীপ। ১৭ জুলাই ভর্তি হন কে এল বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৮ জুলাই থেকে হোস্টেলে থাকতে শুরু করেন এই পড়ুয়া। ছেলেকে রেখে ২১ জুলাই বাবা ফিরে আসেন মেদিনীপুরে। ২৪ জুলাই দুপুর দেড়টার সময় শেষবারের মতো কথা হয় সৌরদীপের সাথে তাঁর পরিবারের। সাড়ে ৩টে নাগাদ সৌরদীপের বাবার ফোনে এক অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনে তাঁকে জানানো হয়, সৌরদীপ হস্টেলের ১১ তলা থেকে পড়ে গেছেন।  তড়িঘড়ি করে সৌরদীপের বাবা এক আত্মীয়কে নিয়ে পৌঁছে যান বিজয়ওয়াদায়। পৌঁছতেই তাঁকে বিমানবন্দর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো গাড়ি নিয়ে চলে যায় হাসপাতালে, যেখানে সৌরদীপের নিথর দেহ রাখা ছিল। হাসপাতাল পৌঁছে তিনি জানতে চান ঘটনা কী করে ঘটেছে। তখন তাঁকে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, হস্টেলের উপর থেকে পড়ে গেছেন। ময়নাতদন্ত করতে রাজি ছিল না হাসপাতাল। কিন্তু পরে বাবার কথা শুনে ময়নাতদন্ত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে তিনজন নিরাপত্তারক্ষীকে পাঠানো হয়েছিল সৌরদীপের বাবাকে সহায়তা করার জন্য। সৌরভ চৌধুরী জানান, ছেলেকে নিয়ে আসার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়াও দিয়েছিলেন সেই তিনজনই। ভাড়া হয়েছিল ৪০,০০০ টাকা। সৌরদীপের যেই ঘর থেকে পড়ে যান, সেই ঘরের নম্বর ১১১৮, কিন্তু সৌরদীপ থাকতেন ১১১৬ নম্বর ঘরে। প্রশ্ন এটাই যে কি কারণে সৌরদীপ নিজের ঘরে ছেড়ে পাশের ঘরে গেলেন? যদিও এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তিনজন নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে কেউই।