জেলা

৫৯ লক্ষ জবকার্ড হোল্ডারকে টাকা, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

৫৯ লক্ষ জবকার্ড হোল্ডারকে বকেয়া দিচ্ছে রাজ্য। কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার ১০০ দিনের কাজ করা এই গরিব মানুষদের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাচ্ছে। বুধবার, বাঁকুড়ার খাতরায় পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মঙ্গলবার, পুরুলিয়া থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে ছিলেন বঞ্চিত জবকার্ড হোল্ডারদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ। এদিন তিনি জানান, সংখ্যা আরও বেড়েছে। সেটি ৫৯ লক্ষ। কেন্দ্রীয় বঞ্চনায় ১০০ দিনের কাজ করেও টাকা পাননি যে জব কার্ড হোল্ডাররা তাঁদের ২১ ফেব্রুয়ারি বকেয়া দেবে রাজ্য সরকার। বাংলার প্রতি মোদি সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে রেড রোডের ধর্নামঞ্চ থেকে ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু পরে দেখা যায়, সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ২৪ লক্ষ। সেই কারণে টাকা দেওয়া সীমা এক সপ্তাহ বাড়ানো। বিধানসভায় বাজেট বিষয়ে বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১ মার্চ সবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে। কিন্তু তার আগেই ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বঞ্চিতদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে শুরু করেছে। সোমবার, মহেশতলায় প্রকল্পের উদ্বোধনে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দেন, এই সংখ্যাটা আরও বেড়েছে। মঙ্গলাবর, পুরুলিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, সংখ্যাটা প্রায় ৫০ লক্ষ। তবে, বাঁকুড়ায় মমতা জানান, এবার ৫৯ লক্ষ কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার মানুষকে টাকা দিচ্ছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকা শুরু হয়েছে। ১০০ দিনের কাজ থেকে আবাস, গ্রামীণ রাস্তা- বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বঞ্চিত বাংলা। কাজ করিয়েও টাকা দেওয়া হয়নি ১০০দিনের কাজের শ্রমিকদের। তার প্রতিবাদে লাগাতার ৪৮ ঘণ্টা ধর্না দেন তৃণণূল সভানেত্রী। বাংলার বকেয়া আদায়ে দিল্লি গিয়ে ধর্না-আন্দোলন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে বাংলার দাবি নিয়ে সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কেন্দ্র থেকে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ না করায় রাজ্যের পক্ষ থেকে বঞ্চিত জবকার্ড হোল্ডারদের টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।