স্বীকৃতি আদায়ে ফের উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। UNESCO-র ঐতিহ্যশালী আন্তর্জাতিক উৎসবের তালিকায় এবার জায়গা করে নিতে পারে বাঙালির শারদোৎসব! পর্যটন দফতরের সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী বললেন, ‘ব্রিটিশ আমলে মহিলা পরিচালিত পুজো নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ ছিল। বাঙালির দুর্গাপুজোকে ‘ক্ষমতায়নের পুজো’ হিসেবে দেখতেন দেশের তৎকালীন শাসকরা’। নির্দিষ্ট কোনও ধর্ম-বর্ণ বা জাত-পাতের গণ্ডিতে আবদ্ধ নয়। দুর্গাপুজো মানেই শুধুই উৎসব। দশভূজার অপূর্ব মূর্তি ৷ সৃদৃশ্য মণ্ডপ ৷ ঢাকের বাদ্যি ৷ নতুন জামা ৷ দেদার হুল্লোড়! বছর দুয়েক আগে বাঙালির এই উৎসবকে ‘মেগা ফেস্টিভ্যাল’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল। এমনকী, ‘বৈচিত্র্যের মাঝে ঐক্য’-র ভাবনা নজর কেড়েছিল UNESCO কর্তাদেরও। সেবার দুর্গাপুজোকে ঐতিহ্যশালী আন্তর্জাতিক উৎসবের তকমা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা আর হয়নি। এছর পুজোর আগে ফের একই আবেদন জানাতে চলেছে পর্যটন দফতর। ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল,বলিভিয়ার মতো বিশ্বের মাত্র ৬ দেশের উৎসব এখনও পর্যন্ত UNESCO-র স্বীকৃতি পেয়েছে।