রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ। আগামী ৮ জুলাই সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। অর্থাৎ এক দফাতেই ভোট হচ্ছে। বিরোধীদের দাবি মতন একাধিক দফায় ভোট হচ্ছে না। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার থেকেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দাখিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাচ্ছে। সেই মনোনয়ন দাখিল করা যাবে ১৫ জুন পর্যন্ত। অর্থাৎ মনোনয়নের জন্য হাতে থাকছে মাত্র ৭দিন। বৃহস্পতিবার বিকালে রাজ্যের নয়া নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করেছেন। ১০ অথবা ১১জুলাই ভোটের গণনার দিন ফেলা হতে পারে। সেই বিষয়ে চূড়ান্ত দিন পরে জানানো হবে বলেও এদিন রাজীববাবু জানিয়ে দেন। একই সঙ্গে এদিন থেকেই রাজ্যে লাগু হয়ে গেল আদর্শ আচরণবিধি। রাজীবা সিনহা আরও বলেন, ‘ব্যালটবক্স তৈরি আছে। সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।’ ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হবে কিনা, সেই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার জানান, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে। রাজ্য পুলিসের উপর ভরসা রাখা উচিৎ। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এখনই বলার সময় আসেনি। সরকারি কর্মীদের বলব, আমাদের উপর আস্থা রাখুন। সব বুথে সশস্ত্র বাহিনী রাখা যাবে কিনা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেব।’ এদিন রাজীববাবু জানিয়েছেন কলকাতা ও শিলিগুড়ি মহকুমা এলাকা বাদ দিয়ে রাজ্যের সব জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে হবে দ্বিস্তরীয় নির্বাচন এবং রাজ্যের বাকি এলাকায় ত্রিস্তরীয় নির্বাচন। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে জেলা পরিষদ নেই। তাই সেখানে পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেই নির্বাচন হবে। রাজ্যের বাকি জেলাগুলিতে ৩টি স্তরেই নির্বাচন হবে। অর্থাৎ জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে। মনোনয়ন দাখিলের জন্য ১৫ জুন অবধি সময় থাকলেও আদতে মনোনয়ন দাখিল করার জন্য সময় মিলবে মাত্র ৬দিন। কেননা এর মাঝে একটি রবিবার পড়ছে। সেদিন মনোনয়ন দাখিল করা হবে না। এই ৬ দিনের মধ্যে প্রার্থী নির্বাচন ও মনোনয়ন দাখিল করা বিরোধীদের পক্ষে সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। এমনকি এই নিয়ে মামলা দায়ের হওয়ার সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে ভরা বর্ষায় নির্বাচন কতখানি সুষ্ঠ ভাবে করানো সম্ভব তা নিয়েও প্রশ্ন থাকছে। ২০ জুন মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষদিন।