কলকাতা

‘অশনি’-র সাগরেই বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা, তবে হতে পারে ভারী বৃষ্টি

অশনি সাগরেই তার বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবুও ‘অশনি’কে ঘিরে আপাতত যাবতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি তুঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, বাংলা এবং কিছুটা হলেও বাংলাদেশেও। রবি সকালে অতি গভীর নিম্নচাপ হিসাবে এই ঘূর্ণিঝড় আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের ৩৫০ কিমি পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থান করছে। হিসেব বলছে বিশাখাপত্তনম থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং পুরী থেকে ১৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে এই অতি গভীর নিম্নচাপ। এদিন বিকালের মধ্যেই তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আইএমডি’র বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ঘূর্ণিঝড় অন্ধ্র, ওড়িশা, বাংলা কোথাও ল্যান্ডফল করবে না। বরঞ্চ তা সাগরের বুকে ফিরে গিয়ে বিলীন হয়ে যাবে। বাঁক নেওয়ার জেরেই এমনটা ঘটবে। তবে এর প্রভাবে ৩টি রাজ্যেই ভাল বৃষ্টি হবে। কার্যত সোমবার রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম, বিজয়ানাগ্রাম ও শ্রীকাকুলাম জেলায়। বৃষ্টি হবে ওড়িশার গজপতি, গঞ্জাম, খুরদা, পুরী, নয়াগড়, কটক, জগতসিংহপুর ও কেন্দ্রপাড়া জেলায়। কার্যত আগামী ১০ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত এই দুই রাজ্যের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে। ১২ তারিখ থেকেই বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি শুরু হবে। সময় যত গড়াবে সেই বৃষ্টি যেমন দক্ষিণবঙ্গের অনান্য জেলাগুলিতে ছড়িয়ে পড়বে তেমনি বাড়বে তার তেজও। যদিও আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ‘অশনি’র জেরে বাংলায় পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে। সঙ্গে থাকবে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টি হবে। কেননা সাগরে বুকে বাঁক নেওয়ার মুহুর্ত থেকেই শক্তিক্ষয় হবে ‘অশনি’র। তাই বাংলায় এর সরাসরি কোনও প্রভাব পড়বে না। মূলত মধ্য ভারতে শক্তিশালী গরম পশ্চিমী হাওয়ার জেরেই ‘অশনি’র স্থলভাগে পা পড়বে না। সাগরেই সে বিলীন হবে।