কলকাতা

আই সি সি সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট আ্যওয়ার্ড পেল ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টার

ভারতীয় সাহিত্য, সংস্কৃতি ও দর্শনের প্রচার-প্রসার এবং পুরানো নথি ও পাণ্ডলিপি সংরক্ষণে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছে কলকাতার ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টার। সামাজিক ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানের বিশেষ অবদানের জন্য এ বছর তাদের দেওয়া হল ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স সোশ্যাল ইম্প্যাক্ট এওয়ার্ড। মঙ্গলবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন বলরাম লিলা প্রভুর হাতে আই সি সি সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট আ্যওয়ার্ড তুলে দেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভক্তিবেদান্ত গবেষণা কেন্দ্রের উন্নয়ন প্রধান অনুরাগ পারেখ, ডেপুটি রেজিস্টার আরাধ্য ভগবান দাস এবং উন্নয়ন উপদেষ্টা অনুরাগ শর্মা প্রমুখ। সামাজিক ক্ষেত্রে অনন্য অবদানকে স্বীকৃতি দিতে ২০১৯ সাল থেকে জাতীয় স্তরে এই পুরস্কার চালু করে আইসিসি। আবেদনকারী কর্পোরেট, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে পুরস্কার প্রাপককে বেছে নেওয়া হয়। এই পুরস্কার প্রদানের জন্য সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে – এমন উদ্ভাবনমূলক কাজকে, যার ইতিবাচক প্রভাব সামাজিক উন্নয়নের উপরে পড়ে। সামাজিক ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে এবছর ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টারকে এই পুরষ্কার দিতে পেরে তাঁরা খুশি বলে জানালেন আইসিসি সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ডের নলেজ পার্টনার সাস্টেনেবেল সলিউশানের এর নির্দেশক মাধবী গুহ। তিনি বলেন, ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টার যে কাজ করে চলেছে তা সমাজে একটি ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করেছে। দেশে এই ধরনের কাজ করে এরকম এন জি ও খুবই কম রয়েছে বলে তিনি আরও জানান। ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন ড. সুমন্ত রুদ্র বলেন, কিছুদিন আগেই ইনফোমেরিক্সের বিচারে গ্রেড ওয়ান এন জি ও র তকমা পেয়েছে ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টার। তারপর আই সি সি র এই পুরস্কার আগামীদিনে তাদের এইরকম গবেষণার কাজ করতে আরও অনুপ্রেরণা যোগাবে।