কলেরার ওরাল ভ্যাকসিন আনল ভারত বায়োটেক ৷ বর্তমানে ওরাল কলেরা ভ্যাকসিনের বিশ্বব্যাপী চাহিদা বার্ষিক ১০ কোটি ডোজ ছাড়িয়ে গিয়েছে । এই চাহিদার কথা কথা মাথায় রেখেই ভারত বায়োটেকের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ মঙ্গলবার সংস্থার এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান বাজারে কলেরার ওরাল ভ্যাকসিনের আনার কথা জানান ৷ তিনি এও জানান, ভুবনেশ্বর ও হায়দরাবাদের ইউনিটে বছরে এই HILLCHOL একক-স্ট্রেন ওরাল কলেরা ভ্যাকসিন (OCV)-টির ২০ কোটি ডোজ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে ৷ বর্তমানে, শুধুমাত্র একটি প্রস্তুতকারক সংস্থা বিশ্বব্যাপী ওরাল কলেরা ভ্যাকসিন সরবরাহ করে ৷ কিন্তু, তাতেও বার্ষিক 4 কোটি ডোজের ঘাটতি রয়ে যায়। বিশ্বে ওরাল কলেরা ভ্যাকসিনের এই ঘাটতি কমানোর জন্য ভারত বায়োটেক হায়দরাবাদ এবং ভুবনেশ্বরে ২০ কোটিরও বেশি HILLCHOL-এর ডোজের উৎপাদনে জোর দেওয়া হবে ৷ উল্লেখ্য, কলেরা প্রতিরোধযোগ্য এবং চিকিৎসাযোগ্য স্বাস্থ্য সমস্যা হলেও, ২০২১ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী কলেরা আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যু বেড়েই চলেছে । ২০২৩ সালের প্রথম থেকে এই বছরের মার্চ পর্যন্ত, বিশ্বের ৩১টি দেশে ৮ লক্ষ ২৮ হাজার ৪৭৯ জন কলেরা আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৫ হাজার ৯০০০ জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ ১৪ দিনে দু’বার এই ওরাল কলেরা টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছিল স্বেচ্ছাসেবকদের উপর ৷ ভারত বায়োটেকের চিকিৎসক কৃষ্ণ এলা বলেন, “বিশ্বব্যাপী কলেরা মোকাবিলায় আমাদের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এই ভ্যাকসিন। আমি ভারত বায়োটেকের দলকে অভিনন্দন জানাই, এই অভিনব ভ্যাকসিনটি তৈরি করার জন্য ৷ আমাদের অংশীদার এবং CDSCO, ভারত সরকার এবং WHO, জেনেভাকে তাদের নিয়ন্ত্রক নির্দেশিকা এবং সহায়তার জন্যও ধন্যবাদ জানাই ৷” HILLCHOL বিশ্বব্যাপী কলেরা প্রতিরোধের প্রচেষ্টায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিতে চলেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে কলেরা সংক্রান্ত মৃত্যু ৯০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যে গ্লোবাল টাস্ক ফোর্স অন কলেরা কন্ট্রোল (GTFCC) এর লক্ষ্যে যথেষ্ট অবদান রাখবে।