আজ আলিপুরদুয়ারে দলের কর্মী সভায় বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি জানালেন, আলিপুর, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি কোথাও উদ্বাস্তুদের উচ্ছেদ করা হবে না। যারা উদ্বাস্তু কলোনিতে রয়েছেন, তারা ধীরে ধীরে পাট্টা পেয়ে যাবেন। জোর করেও উচ্ছেদের চেষ্টা হলে বিজেপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আলিপুরদুয়ার থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “তৃণমূল সরকার আসার আগে উত্তরবঙ্গের দিকে কেউ ফিরে তাকাতো না, আলিপুর, জলপাইগুড়িতে বন দেখতে আসতো মাছ খেয়ে, সৌন্দর্য উপভোগ করে চলে যেত। কিন্তু কারো দৃষ্টি ছিল না জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়া, দার্জিলিং এর দিকে। আজকে মাত্র ১০ বছরের মধ্যে অনেক কাজ হয়েছে। উত্তরবঙ্গের দাবি ছিল আমি উত্তরকন্যা করে দিয়েছি। আজ উত্তরবঙ্গের লোককে দক্ষিণবঙ্গে যেতে হয় না। আমরা আলিপুরদুয়ারকে নতুন জেলা করে দিয়েছি। জলপাইগুড়িতে বেঙ্গল সাফারি করে দিয়েছি, ভোরের আলো করে দিয়েছি, দার্জিলিংয়ে লামাহাটা করে দিয়েছি, কালিম্পংকে নতুন জেলা করে দিয়েছি, জলপাইগুড়িতে মেডিকেল কলেজ করে দিয়েছি।” তিনি আরও জানান, “কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। পাহাড়ে ইউনিভার্সিটি তৈরি হচ্ছে, রায়গঞ্জ, বালুরঘাটে বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি, শিলিগুড়িতে হিন্দি কলেজ করে দিয়েছি। মাল্টি সুপার হাসপাতাল তৈরি করে দিয়েছি ফালাকাটায়। উৎকর্ষ বাংলায় ২৭০০০ ছেলে মেয়ে সুযোগ পাবে। ২৪ সালের মধ্যে সব বাড়িতে পানীয় জলের সুযোগ দেওয়া হবে।” এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “আলিপুরদুয়ারে ১২ হাজার পাট্টা দেওয়া হচ্ছে। যে সব মানুষ দীর্ঘদিন পাট্টা পায়নি তারাও এবার পাট্টা পাবেন। যাঁরা উদ্বাস্তু কলোনি গড়ে তুলেছেন তারা ধীরে ধীরে পাট্টা পেয়ে যাবেন। উদ্বাস্তু কলোনির লোকদের উচ্ছেদ করা হবে না। যারা আছেন তারা সবাই আস্তে আস্তে পাট্টা পেয়ে যাবেন। ধৈর্য ধরুন চিন্তার কিছু কারণ নেই। আলিপুরদুয়ার থেকে লোকসভা, বিধানসভা সবকিছুই জিতেছে বিজেপি। কিন্তু কী করেছে? যত লোক রেলের পাশে বসে আছে, তাদের সব উচ্ছেদ করছে।” এরপর মুখ্যমন্ত্রীর নিদান, ” যেখানেই দেখবেন উচ্ছেদ করছে, একদম কোমর বেঁধে দাঁড়াবেন। কোন উচ্ছেদ করতে দেবে না। কারণ উচ্ছেদ করার অধিকার ওদের নেই। উচ্ছেদ করার ক্ষমতাও ওদের নেই। বিজেপিকে কটাক্ষ করে তাঁর বক্তব্য, “খেতে দেবার ক্ষমতা নেই, কিল মারার গোসাঁই।”