জেলা

রবিবার রাজ্যে মোদির জোড়া জনসভা, দলে অন্তর্দ্বন্দ্ব সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়

হুগলির চুঁচুড়ায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত বিজেপি! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জনসভার আগে হুগলির সাংগঠনিক জেলার পার্টি অফিসে জেলা নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় দলের কর্মী-সমর্থকরা ৷ সেই ঝামেলা থামানোর জন্য ময়দানে নামতে হয় বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ৷ এনিয়ে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের বিধায়ক অসীমা পাত্র ৷ বিজেপি সূত্রে খবর, চুঁচুড়ায় হুগলি সাংগঠনিক জেলা অফিসে বুথস্তরের সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক চলছিল। সেই সময় বিক্ষোভে দেখাতে শুরু করেন সপ্তগ্রাম বিধানসভার বুথ সভাপতিদের একাংশ ৷ অভিযোগ, নির্বাচনী কাজে তাঁদের কোনও দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না ৷ বরং সেই সুযোগ পাচ্ছেন নবাগতরা ৷ সেই নিয়ে বৈঠকের মধ্যেই গণ্ডগোল শুরু হয় ৷ নির্বাচনের মধ্যে দলের ‘ভাঙন’ রুখতে বাধ্য হয়ে মাঠে নামতে হয় লকেটকে ৷ ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরালও হয়ে যায় (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বঙ্গনিউজ) ৷ সেই ভিডিয়োতে দেখা যায় দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “ক্ষতি করার হলে কর ৷ তবে নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে করতে হবে আমাদের সকলকে ৷ কাউকে কোথাও সরানো হবে না ৷ সমস্যা থাকলে তার সমাধান করতে হবে ৷ সবাই একত্রিত হয়ে সেই সমাধান বের করব ৷” এদিকে ঘটনার কথা চাউর হতেই বিজেপিকে আক্রমণ করেন অসীমা পাত্র ৷ কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “বিজেপিকে চোর বলে তৃণমূল ৷ এদিকে দলের যে সাংগঠনিক জেলা সভাপতির লকেটের সঙ্গে ঘোরেন, তাঁর বিরুদ্ধে সরব তাঁরই দলের লোকজন ৷” তৃণমূল নেত্রীর এই বক্তব্যের উত্তরে বিজেপি জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, “আমাদের মধ্যে কী হয়েছে সেটা তৃঁমূল জানে না । ওরা নিজের মত বানিয়ে বলছে । ওরা প্রমাণ করতে পারবে জেলা সভাপতি কারও কাছে হাত পেতে চাঁদা নিয়েছে ? ক্ষোভ কিছু নয় ৷ কনভেনার হয়তো ডাকেনি, তাই কর্মীরা ওরকম বলেছেন । এতে নির্বাচনে ক্ষতির আশঙ্কা নেই । আমরা নিঃস্বার্থে বিজেপি করি । দলের কর্মীরা দলের ক্ষতি হোক তা চাইবে না । স্লোগান হয়েছে প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষে । সাংগঠনিক আলোচনার ভিডিয়ো বাইরে প্রকাশিত হল কী করে, জানি না । আমাদের কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই ।”