কলকাতা

এবার দেহব্যবসা চালানোর অভিযোগে পুলিশের জালে বিজেপি নেতা, কড়া পদক্ষেপের দাবি তৃণমূলের

 এবার দেহব্যবসা চালানোর অভিযোগে পুলিশের জালে বিজেপি নেতা। ধৃতের নাম সব্যসাচী ঘোষ । তিনি বিজেপির হাওড়া সদরের কিসান মোর্চার সম্পাদক। বুধবার সন্ধ্যায় সাঁকরাইলের ধুলাগড়ে জাতীয় সড়কের পাশের একটি হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে হোটেল মালিক এবং আন্দুলের বাসিন্দা ওই বিজেপি নেতাও রয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ২ নাবালিকা ও ৪ মহিলাকেও উদ্ধার করেছে পুলিশ। সব্যসাচীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এবং তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা দীর্ঘদিন ধরে ওই হোটেলে নাবালিকাদের এনে দেহব্যবসা চালাচ্ছিলেন। ধৃতদের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও পকসো আইনে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিজেপি নেতার এই কুকীর্তি সামনে আসতেই তাঁদের পালটা দিয়েছে তৃণমূল। তাদের প্রশ্ন, তৃণমূলের কোনও নেতা বা কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে বিজেপি বলে দল কী ব্যবস্থা নিয়েছে? কিন্তু যখন তাদের নেতা গ্রেফতার হল, তখন তারা বলছে, আগে অভিযোগ প্রমাণ হোক তবে তো ব্যবস্থা! আজব দ্বিচারিতা! তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হলেই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি, আর বিজেপি নেতা ধরা পড়লে প্রমাণের অপেক্ষা! একই মুখ, দুরকম কথা। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে সেই প্রশ্নই তুলে বিজেপিকে ধুয়ে দিল তৃণমূল। মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা বলেন, এই জমিদারদের দল মেয়েদের সম্মান করে না। মধ্যপ্রদেশে অন্তঃসত্ত্বাকে ধর্ষণ করে জ্বালিয়ে দেওয়া হল, সেখানে ক’টা কেন্দ্রীয় দল গিয়েছে? মাদক থেকে দেহব্যবসা- এভাবেই বাংলায় অশান্তি পাকানো বিজেপি-র পরিকল্পনা। গোটা দেশে কৃষকরা আত্মহত্যা করছে। বিজেপি সরকারের নির্মম অত্যাচারে আন্দোলনরত একাধিক কৃষকের মৃত্যু হচ্ছে। সব্যসাচী ঘোষরা যে দলের কিসান নেতা তারা আর কীই-বা বলবে! সব্যসাচী ঘোষের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের ছবি দেখা যাচ্ছে। এখন কী বলবেন দিলীপ ঘোষেরা। এর পাশাপাশি সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপির উদ্দেশ্যে তোপ দাগেন শশী পাঁজা ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা।