২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপির জন্য আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন স্বয়ং অমিত শাহ ৷ তিনি চান বাংলার ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৫টির বেশি আসনে জয়ী হোক ভারতীয় জনতা পার্টি ৷ সেই লক্ষ্যে বঙ্গের গেরুয়া শিবির সফল হবেন বলে মনে করেন সিদ্ধার্থ নাথ সিং ৷ আর এই সাফল্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ সব কা বিশ্বাস মন্ত্রেই আসবে বলে তিনি মনে করেন ৷মঙ্গলবার কলকাতায় বিজেপির সদর দফতরে মোদি সরকারের নবছরের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরতে এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল ৷ সেই সাংবাদিক বৈঠক থেকেই এই মন্তব্য করেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থ নাথ সিং ৷ তাঁর কথায় যদিও আমি এই রাজ্যে আবার অনেকদিন পর এলাম । তবে গতকাল থেকে যেমন বুঝছি রাজ্যবাসীর মানসিকতার একটা পরিবর্তন হয়েছে । তারা বিজেপিকে বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করছে । কিন্তু বাংলার ভোটে সংখ্যালঘু ভোটাররা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর ৷ সেই সংখ্যালঘু ভোটারদের মন জয় করতে না পারলে এই রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের সাফল্য অধরা থাকবে বলেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ৷ তবে সিদ্ধার্থ নাথের মতে বাংলার সংখ্যালঘুরাও ভোটের সময় বিজেপির পাশে থাকবেন ৷ কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সকলকে নিয়ে সকলের বিশ্বাস অর্জন করে সকলের জন্য উন্নয়ন করতে চান সব কা সাথ সব কা বিকাশ সব কা বিশ্বাস ৷একই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকারে প্রাক্তন এই মন্ত্রীর দাবি ‘‘বাংলায় জলের অভাব রয়েছে বিদ্যুতের অভাব রয়েছে তাই তো এখানকার মানুষ কাজের খোঁজে অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে । এর থেকেই পরিষ্কার যে এই রাজ্যে কিছুই ঠিকঠাক নেই । প্রসঙ্গত সিদ্ধার্থ নাথ সিং একসময় ছিলেন বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক ৷ সেই সময় বঙ্গ রাজনীতিতেও তিনি ছিলেন পরিচিত মুখ ৷ ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর তিনি ওই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হন ৷ তার পর থেকে বঙ্গ রাজনীতির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ অনেকটাই কমে যায় ৷ তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির তরফে তাঁকে ৪টি লোকসভা আসনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ ওই চারটি আসন হল কলকাতা উত্তর কলকাতা দক্ষিণ যাদবপুর এবং দমদম ৷ চারটি আসনই ২০০৯ সালের পর থেকে তৃণমূলের দখলে ৷ আর কলকাতা দক্ষিণের সাংসদ ছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাই তৃণমূলের শক্তঘাঁটিতে বিজেপিকে জয়ের রাস্তা দেখানোর গুরুদায়িত্ব রয়েছে হিন্দি বলয়ের এই নেতার উপর ৷