সীমান্ত এলাকা পরির্দশনে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ। সেখানে গিয়ে সরু রাস্তা দেখে মেজাজ হারালেন অনন্ত রায় ওরফে অনন্ত মহারাজ। তাঁর রুদ্রমূর্তি দেখলেন দলীয় কর্মীরা। প্রকাশ্যেই এক কর্মীকে তিনি মারধর করেন। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বঙ্গ নিউজ। গতাকাল রাতে অনন্ত মহারাজ গিয়েছিলেন কোচবিহারের সীমান্ত এলাকা কুচলিবাড়ির জাবুরাবাড়িতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি কর্মী জানান, সীমান্ত এলাকা পরির্দশন করে দলের এক কর্মীর বাড়িতে খাওয়াদাওয়া কথা ছিল। কিন্তু যে বাড়িতে খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে যেতে গিয়েই বিপত্তি। রাস্তা সরু। গাড়ি ঘোরাবারও জায়গা নেই। এতেই মেজাজ হারান অনন্ত মহারাজ। রাস্তা দেখে অনন্ত মহারাজ এতটাই রেগে যান যে যিনি তাঁর সিডিউল তৈরি করেছিলেন তাঁকে একের পর এক চড় মারতে থাকেন। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ওই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, অনন্ত মহারাজ মানে অনন্ত রায়। ওকে জেনেই এমপি বানিয়েছে বিজেপি। এরা একটু মহারাজ মহারাজ টাইপ। দলের কর্মীকে চড় মারবে, তার পর সেটাকে সহ্য করতে হবে। তা না হলে রাজা-প্রজার সম্পর্ক হবে কী করে। এনিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, উনি স্বঘোষিত মহারাজ। ক্লাস এইট পাস মহারাজ। তাঁর যা করা উচিত সেটাই তিনি করেছেন। নিজেকে এতটাই বড় ভাবছেন য়ে সরু রাস্তা দিয়ে তাঁর মতো মহারাজ যাবেন সেটা তিনি ভাবতে পারছেন না। তাই কর্মীকে শাসন করেছেন। সবার সামনে থাপ্পড় মেরেছেন। এরকম লোক রাজনীতিতে জায়গা পেয়েছে এটা আমাদের লজ্জার ব্যাপার। কোচবিহারের মানুষ যে বিষ গিলেছেন তার ফল এবার ভোগ করতে হবে। তবে এই বিজেপিকে মানুষ শিক্ষা দেবে।