জম্মু ও কাশ্মীরে চলতি মাসে ১৮ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে নির্বাচন। এই নির্বাচনে বাজিমাত করতে হিন্দুত্বই অস্ত্র বিজেপির। শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়েছে বিজেপির তরফে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে প্রকাশিত ইস্তেহার পত্রে ২৫টি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাশ্মীরী পণ্ডিতদের পুনর্বাসন, মন্দিরের পুনর্গঠন ও সংস্কারের মতো ঢালাও প্রতিশ্রুতি। পাশাপাশি মহিলা ও পড়ুয়াদের জন্য বিপুল আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। নিজেদের ইস্তেহারপত্রে কড়া হাতে সন্ত্রাসকে নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে। উগ্রবাদকে ধ্বংস করে জম্মু ও কাশ্মীরের সার্বিক উন্নতিতে জোর দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি কাশ্মীরের পণ্ডিত সম্প্রদায়ের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় গতি আনতে তৎপর হবে সরকার। পশ্চিম পাকিস্তানের, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উদ্বাস্তু ও বাল্মিকী, গোর্খার মতো উপেক্ষিত সম্প্রদায়ের পুনর্বাসনে গতি আনা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপত্যকায় হিন্দু ভোটকে পাখির চোখ করে বিজেপির প্রতিশ্রুতি, ঋষি কশ্যপ তীর্থ পুনরুদ্ধার অভিযানের মাধ্যমে হিন্দু মন্দির ও ধর্মীয় স্থানগুলির পুনর্নির্মাণ করা হবে জম্মু ও কাশ্মীরে। ১০০-র বেশি ভগ্নপ্রায় মন্দির সংস্কার ও পুনর্গঠন করা হবে। কাশ্মীরে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি বসতিগুলি সরাতে কড়া হাতে অভিযান চালানো হবে। ইস্তেহারপত্রে হিন্দুত্বের ডঙ্কা বাজলেও নির্বাচনে মহিলা ভোটই পাখির চোখ বিজেপির। সেদিকে নজর রেখে ঘোষণা করা হয়েছে, ক্ষমতায় এলে জম্মু ও কাশ্মীরে চালু করা হবে ‘মা সম্মান যোজনা’। যার মাধ্যমে বাড়ির বরিষ্ঠ মহিলাকে বার্ষিক ১৮ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। মহিলারা ব্যাঙ্কে ঋণ নিলে তার সুদ যাতে কম করা যায় তার উদ্যোগ নেবে তাদের সরকার। এবং উজ্জ্বলা যোজনায় প্রতিবছর বিনামূল্যে ২টি করে এলপিজি সিলিন্ডার দেওয়া হবে। এছাড়া যুব সম্প্রদায়ের জন্য ‘পণ্ডিত প্রেমনাথ ডোগরা রোজগার যোজনা’য় ৫ লাখ কর্মক্ষেত্র তৈরি করা হবে। উপত্যকার পড়ুয়াদের জন্যও ঢালাও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ইস্তেহারে।