পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা একদিনের মধ্যেই নদীয়ায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। তাও আবার বিজেপি কর্মীর বাড়িতে। শুক্রবার দুপুরে ভীমপুর থানার বাগবেরিয়া পঞ্চায়েতের কুলতলা এলাকার ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে একটি ফেটে যাওয়া সকেট বোমা উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় বাড়ির মালিক তথা বিজেপি কর্মী তপন ঘোষ সহ একাধিকজনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের জন্য তৃণমূলের দিকেই বারবার আঙুল তুলছে বিরোধী শিবির। তাদের দাবি, অসামাজিক কার্যকলাপের মাধ্যমে ভোট করতে চাইছে শাসকদল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন এলাকায় বোমা মজুত করার অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। সম্প্রতি চাপড়ায় বোমা বিস্ফোরণে বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ার ঘটনায় ভোটের আগে গোটা জেলায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছিল। এলাকার তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠের বাড়িতেই সেই বিস্ফোরণ ঘটে। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার চাপড়া ব্লকেরই বাগবেরিয়া পঞ্চায়েতের বিজেপি কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হল। জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর ১টা নাগাদ কুলতলা এলাকায় বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই বিজেপির কর্মীর বাড়িতে যায়। রান্নাঘরের ভিতরে জ্বালানি বাঁশের আড়াল থেকে ফেটে যাওয়া বোমার খোল উদ্ধার করে। তৃণমূলের দাবি, ভোটে বিশৃঙ্খলা পাকাতেই ওই বিজেপি কর্মী বাড়িতে বোমা মজুত করেছিল। তা এদিন ফেটে যায়। তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন প্রধান সাধন প্রামাণিক বলেন, তপন এলাকার সক্রিয় বিজেপি কর্মী। ক্রিমিনাল রেকর্ডও রয়েছে। অশান্তি পাকানোর জন্য বাড়িতে বোমা মজুত করেছিল। এদিন কোনওভাবে একটি বোমা ফেটে যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে সারা গ্রাম কেঁপে ওঠে। ভোটে বিজেপির অশান্তি পাকানোর ছক ভেস্তে গিয়েছে। বাকি জবাব মানুষ ভোটবাক্সেই দিয়ে দেবেন।