জেলা

বুকজলে দাঁড়িয়ে কয়েকশো বাংলাদেশি, কোচবিহার সীমান্তে জারি হাই-অ্যালার্ট

মাঝে কাঁটাতার। একদিকে সবুজ জমি শেষ হয়েছে। তারপরই জলসীমা। সেই জলপথে একবুক জল নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বহু বাংলাদেশি মানুষ। সেই বাংলাদেশিরা সীমান্তের এপারে ভারতে আসতে চাইছেন। এই করুণ ছবি সদ্য উঠে এসেছে বাংলার কোচবিহারে বাংলাদেশ সীমান্তে। এক ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ঝাঁকে ঝাঁকে বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পার করে ভারতে আসতে চাওয়া মানুষকে তীব্র শোরগোলের মধ্যে কীভাবে ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে ঘরে ফেরাচ্ছেন এক বিএসএফ জওয়ান। তাঁর শান্তভাবে বোঝনোর দশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মিলিন্দ দেওরা। বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতির মাঝে সীমান্তে বিএসএফ কড়া প্রহরায়। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। এই পরিস্থিতিতে সদ্য পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশ সীমান্তে বহু মানুষকে ভিড় করতে দেখা গিয়েছে, এপার বাংলায় আসার জন্য। এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করে যাচ্ছে বিএসএফ। এক সদ্য ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, সীমান্তে একবুক জল নিয়ে কাঁটাতারের বেড়ার সামনে দাঁড়িয়ে ভারতে ঢোকার জন্য আশ্রয়-প্রার্থনা করছেন একদল মানুষ। আর সেই কাঁটাতারের এপারে দাঁড়িয়ে উর্দে গায়ে, এক বিএসএফ জওয়ান, দৃপ্ত অথচ ঠান্ডা মাথায় এই আশ্রয়-প্রার্থনাকারীদের বোঝালেন! তিনি বোঝালেন পরিস্থিতি, তিনি বোঝালেন কী হতে পারে। আর জোর গলায় বললেন, চাইলেও ঢুকতে দিতে পারি না। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, বিএসএফ অফিসার বলছেন, ‘আপনারা শোনেন.. বাংলা বোঝেন তো সবাই?’ ওই প্রান্ত থেকে উত্তর এল, ‘হ্যাঁ বুঝি।’ তারপর বিএসএফ জওয়ান বললেন,’এখন মনে করেন আপনাদের যে সমস্যাগুলো, সেটা সবাই জানে, আমরাও জানি। এখন আপনারা এসেছেন.. একটা আলোচনার ব্যাপার আছে, এভাবে সমস্যার সমাধান হতে পারে না। আমরা চাইলেও গেটের ভিতরে নিয়ে যেতে পারি না।… চিৎকার করে লাভ হবে না।’ ঠান্ডা মাথায় তিনি বলতে থাকেন,’ আপনারা যে সমস্যা নিয়ে এসেছেন তা পুরো পৃথিবী জানে.. এটা তো আলোচনার বিষয়।’ তার উত্তরে ওপার থেকে কয়েকজন বলেন, ‘তা তো অবশ্যই’। বিএসএফ অফিসার ফের বলেন,’ তারপর আপনাদের কী সুরক্ষা আছে, তা আমরাও দেখব, দেখছেন আমাদের স্যারেরা এসেছেন, আমাদের অনেক বড় বড় অফিসাররা এসেছেন, এখন আপনারা যদি বলেন, ভিতরে ঢুকাইতে হবে গেট খুলে, সেটা কি সম্ভব .. বলুন তো?’ সমবেত স্বরে উত্তর আসে ‘না…।’ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, বিএসএফ অফিসার বলছেন, ‘আপনারা শোনেন.. বাংলা বোঝেন তো সবাই?’ ওই প্রান্ত থেকে উত্তর এল, ‘হ্যাঁ বুঝি।’ তারপর বিএসএফ জওয়ান বললেন,’এখন মনে করেন আপনাদের যে সমস্যাগুলো, সেটা সবাই জানে, আমরাও জানি। এখন আপনারা এসেছেন.. একটা আলোচনার ব্যাপার আছে, এভাবে সমস্যার সমাধান হতে পারে না। আমরা চাইলেও গেটের ভিতরে নিয়ে যেতে পারি না।… চিৎকার করে লাভ হবে না।’ ঠান্ডা মাথায় তিনি বলতে থাকেন,’ আপনারা যে সমস্যা নিয়ে এসেছেন তা পুরো পৃথিবী জানে.. এটা তো আলোচনার বিষয়।’ তার উত্তরে ওপার থেকে কয়েকজন বলেন, ‘তা তো অবশ্যই’। বিএসএফ অফিসার ফের বলেন,’ তারপর আপনাদের কী সুরক্ষা আছে, তা আমরাও দেখব, দেখছেন আমাদের স্যারেরা এসেছেন, আমাদের অনেক বড় বড় অফিসাররা এসেছেন, এখন আপনারা যদি বলেন, ভিতরে ঢুকাইতে হবে গেট খুলে, সেটা কি সম্ভব .. বলুন তো?’ সমবেত স্বরে উত্তর আসে ‘না…।’