হাওড়া শহরের বুকে নিজের ফ্ল্যাটেই খুন হয়ে গেলেন এক ব্যবসায়ী। শনিবার হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানা এলাকার একটি আবাসন থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয় বেলা ১১টা নাগাদ। মৃত ব্যবসায়ীর নাম বিল্টু পাঁজা। লোহার কারবার ছিল তাঁর। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারনা, ওই ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন। খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করা হয়েছে। মাথার ডান দিকে গুলির দাগ রয়েছে। সেই গুলি মাথা এ ফোঁড়-ও ফোঁড় করে বাঁ দিকে থাকা দেওয়ালের আয়না ভেঙে দিয়েছে। পাশাপাশি, দেহের পাশেই পড়ে থাকতে দেখা যায় আগ্নেয়াস্ত্র। সেই কারণে পাল্টা প্রশ্ন উঠেছে যে এই ঘটনা খুন না আত্মহত্যা? যদিও পুলিশ দাবি ঘটনাটি খুনের। নাহলে নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে কেউ আগ্নেয়াস্ত্র মাটিতে রাখার সময় পেত না। তা হাত থেকে পড়ে যেত এবং দেহ থেকে একটু দূরেই পাওয়া যেত। দেশের পাশে পড়ে থাকত না। সূত্রে খবর, ফ্ল্যাটে স্ত্রী এবং বছর আটের ছেলেকে নিয়ে থাকতেন বিল্টু। শনিবার সকালে ছেলেকে স্কুল থেকে নিতে গিয়েছিলেন স্ত্রী। তিনি এসে স্বামীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী আশুতোষ বোস জানান, দোতলার ফ্ল্যাটে থাকতেন বিল্টু। কিন্তু শনিবার কখন এই কাণ্ড ঘটেছে, তা তিনি বুঝতে পারেননি। সকালে ফ্ল্যাটে কেউ ঢোকেননি বলেই জানাচ্ছেন তিনি। ঘটনাস্থলে রয়েছেন পুলিশ আধিকারিকেরা। এই ঘটনায় প্রতিবেশীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তাঁরা মনে করেছেন, ব্যবসায়িক কারণে আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন বিল্টু। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এখানেও। বিল্টু যদি আত্মহত্যাই করে থাকেন তো বন্দুক পেলেন কোথা থেকে? পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।