দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত মুর্শিদাবাদের এক ব্যবসায়ী। পুলিশের প্রায় সব মহলের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও মেলেনি কোনও সুরাহা, উঠছে এমনই অভিযোগ। প্রায় ১০ দিন কেটে গেলেও প্রাণ ভয়ে নিজের বাড়ি ফিরতে পারেননি ওই ব্যবসায়ী। আক্রান্ত ব্যবসায়ীর নাম সমীর দাস। জানা যায়, মুর্শিদাবাদের সুতী থানার ঔরঙ্গাবাদের তাঁতীপাড়ার বাসিন্দা সমীর দাসের একটি গ্রিলের কারখানা রয়েছে। ২১–২২ বছর ধরে তিনি এলাকায় ব্যবসা করেন। এলাকায় খুবই পরিচিত তিনি। গত ২১ মার্চ রাতে কারখানা বন্ধ করে তিনি যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন তিনি দেখতে পান, তাঁর পরিচিত দীপক দাসের বাড়ির গেট ভাঙচুর করার চেষ্টা চালাচ্ছে এলাকার কিছু দুষ্কৃতী। কেন ভাঙচুর চালানো হচ্ছে, সেই প্রশ্ন করতেই দুষ্কতীরা সমীরবাবুর ওপর চড়াও হন। তখন তাঁকে বন্দুকের বাট দিয়ে মাথায় মারা হয়, লাঠি দিয়েও আঘাত করা হয়। ঠিক সেই সময় পুলিশের একটি গাড়ি আসতে দেখে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীদের দল। তবে যাওয়ার আগে সমীরবাবুকে শাসিয়ে যায়। পরের দিন যখন ওই ব্যবসায়ী মহিষাইল ব্লক হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যায়, তখন প্রতিবেশীদের মাধ্যমে সমীর বাবু জানতে পারেন, তাঁকে ফের আক্রমণ করতে আসছে দুষ্কৃতীরা। এরপর আর সময় নষ্ট করেননি তিনি। পরিবার ছেড়ে কলকাতায় পালিয়ে আসেন এক বন্ধুর বাড়িতে। ঘটনার দিন রাতেই সুতী থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। কিন্তু তখন পুলিশ কোনও অভিযোগ নিতে চাননি বলে জানিয়েছেন সমীর বাবু। পরের দিন প্রাণ হাতে নিয়ে কলকাতায় পালিয়ে আসার পর পুরো বিষয়টি জানিয়ে রাজ্যের ডিজি ও জেলার পুলিশ সুপারকেও একটি ই-মেইল করা হয়। রাজ্যের পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকেও এই বিষয়টি জানান ব্যবসায়ী। কিন্তু এতদিন কেটে গেলেও পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে বঙ্গ নিউজের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ী সমীর দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনার দিন যারা তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছিল, তাঁরা সকলেই সমাজ বিরোধী। তাদের কাছে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে জানান তিনি। সমীরবাবু সমাজবিরোধীদের নাম করে অভিযোগও জানিয়েছেন। রুকুবুদ্দিন শেখ, আখতার উল শেখ সহ ৭–৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি। কিন্তু পুলিশ এখনও কিছুই করছে না বলে অভিযোগ করছেন ব্যবসায়ী। তাঁর কথায়, ‘এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বাড়িতে ফিরতেই ভয় করছে। বাড়ি ফিরতে না পারায় আতঙ্কেও রয়েছি, যদি বাড়ির লোকেদের প্রাণে মেরে দেয়।’ এই অবস্থায় সুবিচারের আশায় দিন গুনছেন সমীর বাবু।