কালীপুজো ও দীপাবলিতে বাজি পোড়ানো নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাইকোর্ট । যেকোনও ধরনের বাজি পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল আদালত। নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ, “বেঁচে থাকার অধিকার মৌলিক অধিকার। বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে ক্ষুদ্র স্বার্থ উপেক্ষা করতে হয়। পরিবেশ বান্ধব বাজি চিহ্নিত করার কোনও উপায় নেই পুলিসের।পুলিসের পক্ষে বাজি চিহ্নিত করা অসম্ভব। করোনা প্রতিদিন বাড়ছে। যাঁদের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের আরও বেশি সমস্যা হতে পারে।” একই সঙ্গে আদালতের নির্দেশ কোথাও কোনও বাজি বিক্রি করা যাবে না। বাজির বিজ্ঞাপনও দেওয়া যাবে না। প্রদীপ ও মোমবাতি ব্যবহার করা যাবে।
আদালত বলেছে, পরিবেশবান্ধব বাজির অনুমতি দিয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, কিন্তু সেগুলো কী ভাবে পরীক্ষা করা হবে? সাধারণ বাজিকে যে পরিবেশবান্ধব বাজি বা গ্রিন ক্র্যাকার্স বলে বিক্রি করা হবে না তারই বা নিশ্চয়তা কোথায়। কে পরীক্ষা করবেন সেই বাজি, তারও কোনও উত্তর পর্ষদের কাছে নেই।