ঘেরাও, আন্দোলনেও সুরাহা মেলেনি। দিনক্ষণ ঠিক হয়েও অনির্দিষ্ট কালের জন্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচন। উপায়হীন হয়ে এ বার মেডিক্যালের ৫ ডাক্তারি পড়ুয়া আমরণ অনশন শুরু করলেন। এমবিবিএস চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়া রণবীর সরকারের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ প্রিন্সিপাল অফিস লাগোয়া বারান্দায় শুরু হয় অনশন। এ দিকে পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে এক শিশুর কিডনির চিকিৎসা আটকে যাওয়া নিয়ে তার বাবার দায়ের করা মামলায় হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আজ, শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে যে ভাবে হোক ওই শিশুর কিডনির যথাযথ চিকিৎসা করতে হবে মেডিক্যালের চিকিৎসকদের। মামলাকারী আদালতকে জানান, তাঁর সাত বছরের ছেলের চিকিৎসার জন্য বিহার থেকে তিনি কলকাতায় এসেছেন। হাসপাতালে অচলাবস্থার জন্য কিডনি বাদ দেওয়ার অস্ত্রোপচার করা যাচ্ছে না-এমনটাই অভিযোগ তাঁর আইনজীবী সুমন সেনগুপ্তের। হাসপাতালের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের আইনজীবী জানান, বিক্ষোভের জন্য সেন্ট্রাল ল্যাব থেকে শুরু করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ বন্ধ থাকার জন্য সার্বিক পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের অবশ্য দাবি, তাঁরা নিছকই পড়ুয়া, চিকিৎসার কাজ করেন ডাক্তাররা। তাঁদের চিকিৎসা করার কথা নয়। তাঁরা পরিষেবায় বাধাও দেননি। তাঁদের নামে মিথ্যে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। দায় এড়াচ্ছে হাসপাতাল।