রিজার্ভ বেঞ্চের দল নামিয়ে ক্যামেরুনের কাছে হারলো ব্রাজিল। তবে জিতেও টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল রজার মিল্লার দেশ। অন্যদিকে শেষ ষোলোয় উঠে গেল সুইৎজারল্যান্ডও । নিয়মরক্ষার ম্যাচে দলে ন’টি পরিবর্তন করেন তিতে। কার্যত দ্বিতীয় সারির ব্রাজিল দলের বিরুদ্ধে নামতে হয়েছিল স্যামুয়েল এটোর দেশকে। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলতে শুরু করেন ফ্রেডরা। ১৩ মিনিটে মার্টিনেলির গোলমুখী শট বাঁচান ক্যামেরুন গোল কিপার। ২১ মিনিটে রিচার্লিসনের মতো শট মারতে গিয়ে গোল মিস করেন ফ্রেড। সেলেকাও ফরোয়ার্ডদের থামাতে না পেরে ফিজিক্যাল ফুটবলের রাস্তায় নামে ক্যামেরুন। গোলশূন্য ভাবেই শেষ হয় ম্যাচের প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধের দশ মিনিট কাটতেই তিনটি পরিবর্তন করেন তিতে। আক্রমণের মাত্রাও বাড়ায় সেলেকাওরা। তবে একাধিক শট টার্গেটে রেখেও গোললাইন পেরতে পারেননি মারকুইনহোসরা। তার একমাত্র কারণ বিপক্ষ গোলকিপার ডেভিস এপাসি। ক্যামেরুনের প্রথম দলে খেলার কথাই ছিল না ১৯ বছর বয়সি এই গোলকিপারের। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিশ্বকাপ থেকেই সাসপেন্ড করা হয় প্রথম দলের গোলকিপার আন্দ্রে ওনানাকে। তাঁর পরিবর্ত হিসাবে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নেমে তিন গোল খেয়েছিলেন এপাসি। কিন্তু ব্রাজিলের একটাও শট গোলে ঢুকতে দেননি এই তরুণ। তাঁর গ্লাভসেই আটকে গেল সব আক্রমণ। প্রত্যেকটি ম্যাচ জিতে নক আউটে ওঠা হল না সেলেকাওদের। ক্যামেরুন ৯০ মিনিট গোলটি করে। ব্রাজিলের হাফ থেকে মাপা পাসে ফরোয়ার্ডদের বল বাড়িয়েছিলেন ক্যামেরুনের মিডফিল্ডার। ভেসে আসা বলে আলতো করে মাথা ছুঁইয়ে গোলে জড়িয়ে দেন।