আরজি কর হাসপাতালের পুলিশ মর্গে হানা দিলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই হাসপাতালের একাধিক দুর্নীতির ঘটনা ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, আরজি করে ওই তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কেন তড়িঘড়ি তাঁর দেহ সৎকার করে দেওয়া হল? প্রশ্ন এও উঠেছে, কেন তদন্তসাপেক্ষ বিষয় হওয়ায় ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃতদেহ সংরক্ষণ করে রাখা গেল না? সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের মর্গে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা বেশ কয়েকজনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার আলাদা আলাদা করে কথা বলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা ৷ তাতে তাঁরা জানতে পেরেছেন, আরজি কর হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহ কয়েকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখার সুষ্ঠু ব্যবস্থা রয়েছে। আর এখানেই তদন্তকারীদের মনে প্রশ্ন জাগছে, যে হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহ সংরক্ষণ করে রাখার সুষ্ঠু ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে কেন মহিলা চিকিৎসকের দেহ তড়িঘড়ি সৎকার করে দেওয়া হল? পাশাপাশি সিবিআই জানতে চাইছে, কার নির্দেশে এমনটা হল? তা জানার জন্য ইতিমধ্যেই সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে কথা বলছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। পাশাপাশি হাসপাতালের দুর্নীতির ঘটনায় কলকাতার নিজাম প্যালেসের দুর্নীতি দমন শাখার গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে সম্মুখীন হয়েছেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আকতার আলি। যদিও ঘটনার পর আরজি কর হাসপাতালে সিবিআই-এর দল এই প্রথম এল না। এর আগেও বিভিন্ন অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। মর্গে হানা দেওয়ার পাশাপাশি এদিন আরজি কর হাসপাতালের বর্তমান এমএসভিপি-সহ একাধিক উচ্চপদস্থ চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা।