দেশ

করোনার সময়ে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে রেলের আধিকারিককে আটক করল সিবিআই

উত্তর-পূর্ব রেলের সদর দফতরের আধিকারিক ও কর্মচারীদের বাড়িতে সিবিআই হানা ৷ শনিবার গভীর রাতে ৬ জন কর্তা ও কর্মচারীর বাড়িতে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে চলে অভিযান ৷ অভিযানের পর এক আধিকারিককে আটক করা হয় ৷ উল্লেখ্য, স্টোর ডিপোয় আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে বেশ কয়েকজন আধিকারিক এবং কর্মচারীকে উত্তর-পূর্ব রেলের সদর দফতর থেকে বদলি করা হয় ৷ এদিন তাঁদের বাড়িতেই অভিযান চালায় সিবিআই আধিকারিকরা ৷ জানা গিয়েছে, স্টোর ডিপোতে পণ্য কেনাবেচায় অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেন সিবিআই আধিকারিকরা ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, করোনার সময়ে এই আর্থিক দুর্নীতির সূত্রপাত হয় ৷ জেম পোর্টালের মাধ্যমে স্টোর ডিপোতে ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্য়ে অনিয়ম, একটি নির্দিষ্ট সংস্থাকে সুবিধা দেওয়া, রেলের হাসপাতালে ওষুধ ও চিকিৎসার সরঞ্জাম-সহ যানবাহনের নামে কারচুপির অভিযোগ ওঠে ২০২২ সালে ৷ এরপর ২০২৩ সালে ঘটনাটি দিল্লি রেলওয়ে বোর্ডের নজরে আসে ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে, ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ তদন্তের জন্য গোরখপুরে পৌঁছন রেলের ভিজিল্যান্স দল ৷ তদন্তের পর এই সংক্রান্ত সমস্ত নথি দিল্লিতে নিয়ে আসা হয় ৷ এই ঘটনার জেরে রেলওয়ে বোর্ডের স্টোর ডিপোর ডেপুটি চিফ ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজার ঋতুরাজকে দক্ষিণ রেলে বদলি করে দেওয়া হয় ৷ সেই ঘটনার পর বিষয়টি খানিক থিতিয়ে গেলেও তদন্ত চলতে থাকে ৷ সেই তদন্তের জন্য শনিবার রেলের আধিকারিক এবং কর্মচারীদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই ৷