জেলা

লোসকসভা নির্বাচনের মধ্যেই ২০২১ সালের বিধানসভার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তদন্তে জোর বাড়াল CBI, তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে পরপর হানা

লোসকসভা ভোটের মধ্যেই ২০২১ সালে বিধানসভার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে জোর বাড়াল সিবিআই ৷ দুই তৃণমূল নেতার বাড়িতে হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা ৷ বিধানসভা ভোটের পর খুন হয়েছিলেন চাঁদু (ওরফে জন্মেঞ্জয়) দোলাই-এর পরিবারের অভিযোগ। এই মামলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিল তাঁর পরিবার। হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলায় তদন্ত শুরু করে সিবিআই। সেই মামলার তদন্তেই শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মারিশদা থানা এলাকার ভাজাচাউলির সিজুয়াতে হানা দিল সিবিআই। এই মামলায় একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে নাম থাকলেও এদিন মূলত দুই তৃণমূল নেতার বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। সিজুয়া গ্রামের দাপুটে তৃণমূল নেতা নন্দদুলাল মাইতির বাড়িতে এদিন পৌঁছে যায় সিবিআই অফিসারেরা।জানা গিয়েছে, তাঁর ছেলের সন্ধানে এসছিল সিবিআই ৷ নন্দদুলাল মাইতির ছেলে বুদ্ধদেব মাইতি কর্মসূত্রে হাওড়াতে রয়েছে। জানা গিয়েছে, নন্দদুলাল মাইতি এবং তাঁর স্ত্রীর পরিবারের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড-সহ অন্যান্য তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। দেবব্রত পণ্ডার বাড়িতেও সিবিআই তদন্তের জন্য যায় এদিন।যদিও এই বিষয়ে নন্দদুলাল মাইতি বলেন, “এটা একটা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস শুরু হয়েছে সিবিআইকে দিয়ে। তারা সঙ্গে বাইরের কিছু লোকজনদের নিয়ে এসে আমার পরিবারের মহিলাদের হাত ধরে টানাটানি করে ৷ এতে আমার প্রাণ সংশয়ে রয়েছে। এইরকমভাবে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে। শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সিবিআইকে দিয়ে এইসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। রাজনৈতিকভাবে শুভেন্দু অধিকারী, আমাদের সঙ্গে পেরে না উঠে একটা চক্রান্ত করছে। এর জন্য আমরা তীব্র নিন্দা করছি।” যদিও এই বিষয়ে থানায় লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি বলেও জানান নন্দদুলাল মাইতি। তিনি বলেন, “আমি মৌখিকভাবে থানায় বলে এসেছি।”