কলকাতা

রাজভবনের অন্দর নয়, নর্থ গেটের সামনের সিসিটিভি ফুটেজে প্রকাশ্যে অভিযোগকারিণীর মুখ!

সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের নামে কার্যত প্রহসন করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। অভিযোগ উঠেছিল, রাজভবনের কনফারেন্স রুমে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে ভবনের অস্থায়ী মহিলা কর্মীর। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ফুটেজ চেয়েছিল কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। কিন্তু পুলিশের সেই আবেদন নাকচ করে দিয়ে একেবারে জনসমক্ষে সেই সিসিটিভি প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল। কিন্তু অন্দরমহল নয়, রাজভবনের মেন গেটের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ্যে আনল রাজভবন কর্তৃপক্ষ। যে ফুটেজে রাজ্যপালের টিকিটিও দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু এই ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পরই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিযোগকারিণী নির্যাতিতা। তিনি বলেন, নিজের দোষ ঢাকতে উনি আমার এবং আমার পরিবারের অসম্মান করলেন। আর কত নিচে নামবেন রাজ্যপাল? উনি নিজেও জানেন, উনি আমার সঙ্গে কী অন্যায় করেছেন। সেজন্যই রাজভবনের কর্মীদের ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রেখেছেন। এমনকী আমাকেও ভয় দেখানোর জন্য লোক পাঠিয়েছিলেন উনি। এদিন দুপুর নাগাদ রাজভবনের তরফে ওই ঘটনার ১ মিনিট ৯ সেকেন্ডের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁর কথামতো ‘সাচ কা সামনা’য় আবেদনের ভিত্তিতেই ওই ফুটেজ বাইরে দেখানো হয়েছে। সেই ভিডিওয় রাজভবনের অন্দর নয়, তিন ধাপে নর্থ গেটের সামনের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে কোথাও দেখা যায়নি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে । এর পরই ভিডিওটি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিযোগকারী মহিলা কর্মী। রাজভবন থেকে প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ক্ষুব্ধ অভিযোগকারী মহিলা কর্মী। তাঁর অনুমতি না দিয়ে মুখ দেখানোয় রীতিমতো হতাশ। কুরুচিকর কাজ করে নিজের দোষ ঢাকতে নাটক মঞ্চস্থ করছেন রাজ্যপাল, এমনই বলছেন ক্ষুব্ধ অভিযোগকারিণী। তাঁর দাবি, সিসিটিভির প্রযুক্তির দিকটি তিনি জানেন না। কিন্তু মুখ কেন দেখানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এখন যা পরিস্থিতি, আমার আত্মহত্যা করা ছা়ড়া আর কোনও উপায় নেই দেখতে পাচ্ছি’, বললেন অভিযোগকারিণী।  অভিযোগকারিণী বলেন, ‘ভিডিয়োতে যেটা দেখলাম, সেই খুবই অস্পষ্ট। নিচের তলায় সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারির ঘরের বাইরের ওই ফুটেজটা বোধহয় আপনাদের দেখানো হয়নি। যদি ওটা দেখতে তাহলে বুঝতে পারতেন, ওখানেও কিন্তু দেখা যাচ্ছে আমি কাঁদতে কাঁদতে ওনার ঘরে ঢুকেছি এবং কথা বলে বেরিয়ে এসেছি’।