দেশ

‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে বড় পদক্ষেপ, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে কমিটি গঠন মোদি সরকারের!

সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার পরদিনই, শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ তত্ত্বকে আইনে পরিণত করতে কমিটি গঠন করল। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে এই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর। চলবে ২২ তারিখ পর্যন্ত। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি বৃহস্পতিবার এক্স বার্তায় একথা জানান। তারপর এদিনই এক দেশ, এক নির্বাচন নিয়ে কমিটি গঠনের তৎপরতায় রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই বিশেষ অধিবেশনে যে এই বিষয়টি নিয়েই বিল পেশ এবং পাশ করানোর চেষ্টা হতে পারে, তা মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কমিটি কেবলমাত্র আইনের যৌক্তিকতা এবং যুগোপযোগিতা নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করবে তাই নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্য পৌঁছানোর চেষ্টা করবে। যাতে এটা খুব সহজেই সংসদে পাশ হয়ে যেতে পারে।

জেনে নিন ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন থিওরি –

এক দেশ এক নির্বাচন প্রস্তাব পাশ হলে গোটা দেশে একইসময় লোকসভা এবং রাজ্যগুলির বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এমনটাই জানাচ্ছে রাজৈনিতক বিশ্লেষকরা। তবে এই ভোট প্রক্রিয়ার প্যাটার্ন কী হবে তা এখনও কেন্দ্রের তরফে কোনও আলোচনা করা হয়নি। উল্লেখ্য়, খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিকবার এই এক দেশ এক নির্বাচন প্রক্রিয়ার কথা জনসমাবেশে বলেছেন। বিজেপি নেতারা এই প্রক্রিয়ার পক্ষে জোরাল সওয়াল করেছেন। এমনকী, ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে এটি বিজেপি-র নির্বাচনী ইস্তেহারেও উল্লেখ করা হয়েছিল। ইস্তেহারের ১৪ নম্বর পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়, বিজেপি দেশ থেকে অপরাধীদের নির্মূল করতে নির্বাচনী সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিজেপি অন্যদলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচন একইসঙ্গে করার পদ্ধতি তৈরি করতে উদ্যোগী। রাজনৈতিক দল এবং সরকার উভয়ের জন্য নির্বাচনী খরচ কমানোর পাশাপাশি, এটি রাজ্য সরকারগুলির জন্য নির্দিষ্ট স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ স্মরণ করিয়েছেন, ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ভারতে এই এক দেশ এক নির্বাচন প্রক্রিয়ার ধাঁচেই ভোটপর্ব অনুষ্ঠিত হত। ১৯৬৮-৬৯ সালে একাধিক রাজ্যের বিধানসভা অকালে বাতিল হয়ে যায়। ১৯৭১ সালে মেয়াদের এক বছর বাকি থাকতেই লোকসভাও বাতিল হয়ে যায়। সে সময় অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল দেশে।