দেশ

দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতির হচ্ছেন সঞ্জীব খান্না, জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার

অবসর নিচ্ছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ৷ এদিন দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে । বিচারপতি খান্না হবেন সুপ্রিম কোর্টের ৫১তম প্রধান বিচারপতি।প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ১০ নভেম্বর অবসর নেবেন ৷ আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল একটি এক্স পোস্টে লিখেছেন, “ভারতের সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগে, মাননীয় রাষ্ট্রপতি মাননীয় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শের পর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে ১১ নভেম্বর, ২০২৪ থেকে ভারতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করেছেন ।’’চলতি মাসের শুরুর দিকেই চন্দ্রচূড় আইন মন্ত্রককে চিঠি লিখে সুপ্রিম কোর্টের দ্বিতীয়-প্রবীণ বিচারপতিকে তাঁর উত্তরসূরি হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন ।বিচারপতি খান্না বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রায়ের অংশ ছিলেন। সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প মামলায় তিনি বেঞ্চের অংশ ছিলেন । তাঁর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ দিল্লির আবগারি নীতি মামলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে । এছাড়া তিনি সাংবিধানিক বেঞ্চেরও অংশ ছিলেন ৷ যা সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলকে বহাল রাখে। একই সঙ্গে ২০১৮ সালের নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পটি বাতিল করেছিল যে বেঞ্চ, তার অংশও ছিলেন বিচারপতি খান্না । ১৯৮৩ সালে দিল্লির বার কাউন্সিলে অ্যাডভোকেট হিসাবে নথিভুক্ত হন। প্রাথমিকভাবে দিল্লির তিস হাজারি কমপ্লেক্সের জেলা আদালত, পরে দিল্লি হাইকোর্ট এবং ট্রাইব্যুনালগুলিতে সাংবিধানিক আইন, প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্র্যাকটিস করেন । বাণিজ্যিক আইন, কোম্পানি আইন, ভূমি আইন, পরিবেশ আইন এবং চিকিৎসা অবহেলায় তাঁর কাজ উল্লেখযোগ্য ।আয়কর বিভাগের সিনিয়র স্থায়ী কাউন্সিল হিসেবে দীর্ঘদিন ছিলেন । ২০০৪ সালে তিনি দিল্লির জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের স্থায়ী কাউন্সিল (সিভিল) হিসাবে নিযুক্ত হন। ২০০৫ সালে দিল্লি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব পান তিনি ৷ পরের বছরই, অর্থাৎ ২০০৬ সালে স্থায়ী বিচারপতি হন । দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন তিনি দিল্লি জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমি, দিল্লি আন্তর্জাতিক সালিসি কেন্দ্র এবং জেলা আদালতের মধ্যস্থতা কেন্দ্রগুলির চেয়ারম্যান/জজ-ইন-চার্জের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন । ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে পদোন্নোতি হয় তাঁর । গতবছর ১৭ জুন থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল সার্ভিস কমিটির চেয়ারম্যানের পদেও ছিলেন তিনি ।