স্টেরয়েডে লাগাম
ভাইরাসের সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে করোনা চিকিৎসারর নির্দেশিকায় বেশকিছু পরিবর্তন করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কারণ অতিরিক্ত স্টেরয়েডে সংক্রমণ বাড়ে, অভিমত কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ দলের। উচ্চ মাত্রার স্টেরয়েড প্রয়োজনের তুলনায় বেশি দিন ব্যবহৃত হলে বেড়ে যায় মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস জাতীয় সংক্রমণের আশঙ্কা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর লোকসভায় দেওয়া তথ্য অনুসারে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ভারতে মোট ৫১ হাজার ৭৭৫ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে। তাই সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েই এই নয়া নির্দেশ বলে ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলে। এদিন মৃদু, মাঝারি ও জোরাল উপসর্গের রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশিকা। এটি জারি করা হয়েছে আইসিএমআর-এর তরফে।
কী রয়েছে কেন্দ্রের চিকিৎসা নির্দেশিকায় –
🔴 ষাট বছরের বেশি বয়সী মানুষজন যাদের হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, এইচআইভি, টিবি, পুরনো ফুসফুসের সমস্যা, কিডনি, লিভারের রোগ রয়েছে তাদের তীব্র সংক্রমণ ও মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে।
🔴 মলনুপিরাভির ও মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডির মতো অ্যান্টিভাইরাল ব্যবহার করা যাবে না। পাশাপাশি নির্দেশিকায় রাখা হয়নি ivermectin, favipiravir, and Doxycycline মতো ওষুধকে। একইসঙ্গে রাখা হয়নি অ্য়ান্টিবায়োটিক ও ভিটামিনকেও।
মৃদু অসুস্থতা –
যেসব রোগীর ‘আপার রেসপিটারি ট্র্যাক সিনড্রম’ রয়েছে বা জ্বর রয়েছে অথচ শ্বাসকষ্ট নেই তারাই মৃদ অসুস্থ বলে মনে করা হচ্ছে। এদের মেনে চলতে হবে দূরত্ববিধি, ঘরের মধ্যে থাকলেও ব্যবহার করতে হবে মাস্ক, নিয়মিত মাপতে হবে শরীরের তাপমাত্রা ও অক্সিজেন স্যাচুরেশন। আর এই ধরনের রোগীদের মধ্যে যাদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে, অক্সিজেন স্য়াচুরেশন ৯৩ শতাংশের নীচে, বেশি জ্বর, ৫ দিনের বেশি সর্দি রয়েছে তাদের ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে।